শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক ‘প্রতিবাদ’ বিজ্ঞপ্তিতে বিভাগটি বলছে, তারা ওই গবেষণার দায়ভার নেবে না।
ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গবেষণাটির সাথে ‘সংশ্লিষ্টতা না থাকায় ফার্মেসি বিভাগ কোনো প্রকার দায় গ্রহণ করছে না।’
গত ২৫ জুন ঢাবির ফার্মেসি অনুষদ ও বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টার এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, তারা বাজার থেকে প্রাণ, মিল্ক ভিটা, ইগলু, আড়ং ও ফার্ম ফ্রেশের পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত কাঁচা দুধ পরীক্ষা করে তাতে ডিটারজেন্ট ও এন্টিবায়োটিক থাকার প্রমাণ পেয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ফার্মেসি বিভগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সীতেশ ইউএনবিকে বলেন, তার বিভাগের কেউ এ গবেষণার সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল না।
তিনি বলেন, ‘ঢাবি গবেষকদের কাজ হলো গবেষণায় পাওয়া তথ্যগুলো জার্নালে প্রকাশ করা, সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা নয়। এক্ষেত্রে অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে।’
এদিকে গবেষণার ফল প্রকাশকারী বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক আ. ব. ম. ফারুকও নিশ্চিত করেছেন যে, গবেষণাটির সাথে ফার্মেসি বিভাগ যুক্ত নয়।
বিষয়টি পরিষ্কার করে তিনি বলেন, ‘ফার্মেসি বিভাগ নয়, ফার্মেসি অনুষদের কিছু শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এ গবেষণাটি করেছেন।’
তবে গবেষণার ফলাফল ও তা জনসম্মুখে প্রকাশ করার পক্ষে মতামত দিয়েছেন ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি ও ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ফারুক।
‘গবেষণাটি সঠিক’ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দুধে ক্ষতিকারক পদার্থ পাওয়ায় তা মানুষকে জানানোই ছিল আমাদের উদ্দেশ্য।