যাত্রী কল্যাণ প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সারাদেশে ৬ হাজার ৯২৯টি সড়ক, রেল ও নৌপথে দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৫০৫ জন নিহত ও ১০ হাজার ৯ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
সংস্থাটির দেওয়া তথ্যমতে, বিগত ২০২২ সালে দুর্ঘটনায় মৃত্য হয়েছিল ৯ হাজার ৯৫১ জনের। এতে দেখা যায় মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে,যা প্রায় ১৫ শতাংশ। অন্যদিকে, ২০২২ সালের ৬ হাজার ৭৪৯ দুর্ঘটনা ঘটলেও তা ২০২৩ সালে ২ দশমিক ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
রবিবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
মোট মৃত্যুর মধ্যে ৫২০টি রেল দুর্ঘটনায় ৫১২ জন এবং নৌপথে ১৪৮টি দুর্ঘটনায় ৯১ জন মারা গেছেন।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে জেকেএস সেক্টরে কাজ শুরু করার পর থেকে নিবন্ধিত মোটরবাইক এবং হিউম্যান হলারের সংখ্যা প্রায় ৫ গুণ বেড়েছে। একই সঙ্গে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে চলাচলকারী তিন চাকার ও ইজিবাইকসহ অননুমোদিত যানবাহনকে এসব সড়কে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য দায়ী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী-স্বামী নিহত
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, নৌপথ এবং রেলপথ ছাড়াই ৩৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা জাতীয় মহাসড়কে ঘটেছে, এচাড়া ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ ঘটেছে আঞ্চলিক সড়কে।
এসব দুর্ঘটনার জন্য বেপরোয়া গাড়ি চালানো, ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং, জরাজীর্ণ রাস্তা, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অদক্ষ চালক, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন বা হেডফোন ও মাদক ব্যবহার এবং সচেতনতার অভাব, ফুটপাত দখল, সড়ক ব্যবহারকারীদের মধ্যে ট্রাফিক আইন অমান্য সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত