সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, জাতি একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক এবং সর্বজন শ্রদ্ধেয় রাজনীতিবিদকে হারালো।
এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আল্লাহ তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান- জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।’
বার্তায় শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি শোক জানান প্রধান উপদেষ্টা।
চিকিৎসক ও জনসেবক হিসেবে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সুদীর্ঘ ও বহুল সম্মানিত কর্মজীবনের কথা স্মরণ করেন তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ডা. বদরুদ্দোজা দেশের একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক হিসেবে সুস্থতা ও সুস্বাস্থ্যের বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। বিটিভিতে তার 'আমার ডাক্তার' অনুষ্ঠানটি কোটি দর্শকের কাছে জনপ্রিয় ছিল।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘রাজনীতিতেও একই নিষ্ঠা নিয়ে এসেছিলেন ডা. বদরুদ্দোজা। পাঁচবারের সংসদ সদস্য হিসেবে নব্বইয়ের দশকে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। সংসদে তার বক্তব্য সব মতের রাজনীতিবিদদের কাছে প্রশংসনীয় ছিল।’
আরও পড়ুন: বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
তিনি আরও বলেন, ডা. বদরুদ্দোজা প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট, উপ-প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী হিসেবে দেশের সেবা করেছেন। তিনি তার উদারতার জন্য সুপরিচিত ছিলেন।
ডা. বদরুদ্দোজার জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সবাইকে জনগণ ও গণতন্ত্রের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ বদরুদ্দোজা চৌধুরী শুক্রবার উত্তরা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।
ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে বুধবার হাসপাতালে ভর্তি হন বি চৌধুরী।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বি চৌধুরীর প্রেস সচিব জাহাঙ্গীর আলম জানান, রবিবার মুন্সীগঞ্জের মজিদপুর দায়হাটায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
শনিবার সকাল ৮টায় উত্তরা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বাদ জোহর বারিধারার ৮ নম্বর রোডের বায়তুল আতিক জামে মসজিদে, রবিবার সকাল ১০টায় মুন্সীগঞ্জ স্টেডিয়ামে তৃতীয় এবং বাদ জোহর তার গ্রামের বাড়ি মজিদপুর দায়হাটায় চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।