ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় পাঁচ বছর আগে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় হিন্দু মন্দিরে অগ্নিসংযোগের মামলায় সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ আসামিদের দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা আদালতের পরিদর্শক দিদারুল আলম।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখি, মো. মোখলেস মিয়া, মো. মফিজুল হক, খসরুল মিয়া, নাজির রহমান, মো. মাহফুজ মিয়া, ইদু মিয়া, শেখ মো. আব্দুল আহাদ, সায়হাম রাব্বী শ্যাম, মীর কাশেম। নাসিরনগর উপজেলার অন্যান্য এলাকার আনিস মিয়া, তবারক রেজা ও সজীব চৌধুরী।
রায় ঘোষণার সময় ১৩ আসামির মধ্যে আটজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেদ গ্রামের বাসিন্দা রসরাজ দাসের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে একটি অবমাননাকর পোস্টের গুজব ছড়ানোর পর উপজেলার কয়েকটি এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: ২১ আইনজীবীর ভাষা ছিল অশ্লীল: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় হাইকোর্ট
পরে সহিংসতার ঘটনায় মোট আটটি মামলা দায়ের করা হয়।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৩ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন।
বৃহস্পতিবার সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে পাঁচ আসামির অনুপস্থিতিতে আদালত এ রায় দেন।
রায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী কামরুজ্জামান মামুন রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানান।
বাদীর কৌঁসুলি নাজমুল হোসেন রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতি কালো দাগ সৃষ্টি করেছে: হাইকোর্ট