জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে দেরি হয় এমন অপ্রয়োজনীয় সংস্কারে না যেতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেছেন, ‘দেরি করলেই ষড়যন্ত্র শুরু হবে।’
রবিবার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী নবীন দলের উদ্যোগে আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমানসহ অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয়তাবাদী নবীন দলের কেন্দ্রীয় কমিটি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
কর্মসূচিতে ফারুক বলেন, ‘আপনারা সংস্কার করুন, এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে এমন সংস্কার করবেন না যাতে নির্বাচন দেরি হয়ে যায়। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যে সংস্কার করতে পারেন, এই সরকারের এমন কোনো সংস্কারের প্রয়োজন নেই।’
দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রকারী সক্রিয়ভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে অহেতুক নির্বাচন না পেছাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দেওয়ার আশ্বাস সিইসির
তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ নিজেদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন, পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন, এমন নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। দেরি করলেই ষড়যন্ত্র শুরু হবে।’
‘যে (শেখ হাসিনা) দাবি করেছিল এই দেশ তার বাবার, সে কিন্তু বেশি দূরে না, ভারতে আছে। সে আবার ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা করছে। তার দোসররা এখনও বাংলাদেশে রয়েছে। তাই তাকে দেশে এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আপনার (ড. ইউনূস) ভয় কীসের? জনগণ আপনার সঙ্গে আছে।’
বিরোধী দলের সাবেক এই চিপ হুইপ বলেন, ‘তিন মাস অতিবাহিত হলে এখনো কেন আমাদের নেতা তারেক রহমান দেশে আসতে পারেনি। এখনো কেন তার নামের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হলো না? জনগণের সামনে এ প্রশ্ন জেগে উঠেছে। তাই সরকারের কাছে প্রত্যাশা তারেক রহমানসহ যাদের নামে মিথ্যা মামলা হয়েছে সব মামলা প্রত্যাহার করা।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আপনাদের বিরোধী না, আপনাদের সহযোগিতা করতে চাই। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম নির্যাতনে হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে রাত কাটিয়েছি, কবরস্থানে ঘুমিয়েছি। সেখানেও পুলিশ আমাদের গ্রেফতার ও জুলুম-নির্যাতন করেছে। তাই এ সরকারের দোসররা যারা এখনও বাংলাদেশে আছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’