ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে খুলনাগামী আরেকটি ট্রেন নকশীকাথাঁ কমিউটার চলাচল করবে।
চূড়ান্ত পরীক্ষামূলক যাত্রার অংশ হিসেবে 'নকশিকাথাঁ' কমিউটার ট্রেনটি শুক্রবার রাত ১২টা ৫ মিনিটে খুলনা থেকে ছেড়ে শুক্রবার সকালে ঢাকায় পৌঁছায়।
খুলনা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মাসুদ রানা জানান, শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) থেকে প্রতিদিন রাত সাড়ে ১১টায় ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে।
ট্রেনটির ছয়টি বগিতে প্রায় ৬০০ আসন রয়েছে। মাত্র ২১০ টাকায় এই ট্রেনে খুলনা থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের ঢাকা যেতে পারবেন যাত্রীরা।
স্টেশন মাস্টার রানা জানিয়েছেন, 'নকশিকাথাঁ' কমিউটার ট্রেনটি সপ্তাহে সাত দিন চলবে এবং ২৫টি স্টেশনে থামবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেল সংযোগের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বেসরকারি সংস্থা এনআরএসআর ট্রেডিং ইজারা নিয়ে ট্রেনটি পরিচালনা করছে। ট্রেনটি খুলনা থেকে গোয়ালন্দ পর্যন্ত মেইল ট্রেন হিসেবে চলাচল করত।
এর আগে গত ১ নভেম্বর খুলনা থেকে পদ্মা সেতু রেল লিংক হয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি।
ট্রেনটি মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহে ছয় দিন রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। আগে এই ট্রেন যমুনা সেতু দিয়ে চলাচল করত।
পদ্মা সেতু দিয়ে সুন্দরবন এক্সপ্রেস চলাচল শুরু করার পর থেকে ভ্রমণের সময় কমেছে অন্তত দুই ঘণ্টা। এই ট্রেনের সর্বনিম্ন ভাড়া ৫০০ টাকা।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেনে পাড়ি দিতে উদগ্রীব দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলবাসী
তবে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন, 'পদ্মা সেতু দিয়ে বাসে ঢাকা যেতে সময় লাগে মাত্র চার ঘণ্টা। কিন্তু ট্রেনটি তার চেয়ে বেশি সময় নেয়। সরাসরি রেললাইন স্থাপিত হলে খুলনার মানুষ পদ্মা রেল সেতুর পূর্ণ সুফল পাবে।
আশরাফুজ্জামাননের সরাসরি রেললাইনের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেন খুলনা সিভিল সোসাইটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার।
তিনি বলেন, 'অনেকেই খুলনা থেকে ট্রেনে ঢাকা যেতে চান, কারণ বাসের চেয়ে ট্রেনে যাতায়াত বেশি আরামদায়ক। কিন্তু পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেনে যেতে বাসের চেয়ে বেশি সময় লাগে। এ জন্য খুলনা-ঢাকা রুটে সরাসরি রেললাইন স্থাপন করা জরুরি।