প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ অনুযায়ী এ ঋণের পরিমাণ হবে পাঁচ থেকে সর্বোচ্চ সাত লাখ টাকা পর্যন্ত।
এদিকে সরকার ঘোষণা করেছে, বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর ফেরত আসা প্রবাসী শ্রমিকদেরকে পরিবহন খরচ বাবদ পাঁচ হাজার টাকা এবং করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া প্রবাসী শ্রমিকদের পরিবারকে তিন লাখ টাকা করে দেয়া হবে।
করোনাভাইরাসের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পূর্ববর্তী দুটি বৈঠকের ধারাবাহিকতায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ক তৃতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি বিদেশে আটকা পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ), সিভিল এভিয়েশন অথরিটির চেয়ারম্যান, সচিব এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রত্যাবাসন, জাতীয়তা যাচাইকরণ, পৃথকীকরণ, প্রবাসীদের জন্য ত্রাণ, বিভাগগুলোর মধ্যে সমন্বয়, বন্ধুত্বপূর্ণ দেশে ওষুধ ও চিকিত্সা সরঞ্জাম প্রেরণ এবং প্রত্যাবাসন পরবর্তী প্রস্তুতি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সদিচ্ছার অংশ হিসেবে, সংকটময় এ মুহূর্তে সহায়তা করার জন্য ওষুধ এবং মেডিকেল সরঞ্জামসহ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের একটি দলকে কুয়েতে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে, বাংলাদেশ মালদ্বীপে খাদ্যসামগ্রী, ওষুধ, চিকিত্সা সরঞ্জাম এবং অন্যান্য সামগ্রী প্রেরণ করছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
খুব শিগগিরই ভুটানে ওষুধ এবং বিভিন্ন চিকিত্সা সরঞ্জামের একটি চালান পাঠানো হবে। প্রয়োজন মতো অন্যান্য দেশেও একই ধরনের সরঞ্জাম পাঠানোর পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ (এএফডি) ঢাকা এবং অন্যান্য জেলার বিভিন্ন স্থানে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার প্রস্তুত করার জন্য কাজ করছে, যেখানে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রায় চার হাজার মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা যাবে।
বিদেশফেরতদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতসহ আগমন-পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে এএফডি।
বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের বহনকারী বিশেষ বিমানের অবতরণের অনুমতি সহজীকরণের জন্য সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।