আবদুল মোমেন
আন্তরিকতার অভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হওয়ার পেছনে মূল কারণ হলো মিয়ানমারের আন্তরিকতার অভাব।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশকে বলেছি কিছু লোক নিয়ে যান। সে কাজ স্বল্প পরিসরে শুরু হয়েছে। তবে আমরা আশাবাদী রোহিঙ্গারা তাদের নিজের দেশে ফেরত যাবে।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে ব্লিনকেনের চিঠি
রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে সিলেটে আল খায়ের ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে হুইল চেয়ার ও সেলাই মেশিন বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাংলাদেশের একার কাজ না। বিশ্ব মোড়লদেরও কিছু দায়িত্ব রয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে তাদের আন্তরিকতার ঘাটতি রয়েছে। আর এতে করেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হচ্ছে।
এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র একটা অভিশাপ। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগে নিয়েছেন দেশে কেউ দরিদ্র থাকবে না। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে অতি দারিদ্রসীমার হার তিন শতাংশের নিচে নিয়ে আসার কাজ চলছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আল খায়ের ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ম্যানেজার তারেক মাহমুদ সজীবসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতা জোরদারে সম্মত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্কটিশমন্ত্রী
মোমেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
২ বছর আগে
মিয়ানমারের পরিস্থিতি ও রোহিঙ্গাদের নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গা ও মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ ‘অনেক উদ্বিগ্ন’।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা সীমান্ত থেকে ৩০ রোহিঙ্গা আটক
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মিয়ানমার সরকারকে বলে থাকি... তারা সবসময় আমাদের আশ্বাস দেয়। কিন্তু অনেক কিছুই তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।’
বাংলাদেশ এখন কক্সবাজার এবং ভাসানচরে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আতিথ্য করছে এবং ২০১৭ সালে অনুপ্রবেশের পর থেকে গত পাঁচ বছরে একজনকেও প্রত্যাবাসন করা হয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, এটি একটি ‘খুব জটিল সমস্যা’ এবং সেখানে (মিয়ানমারের অভ্যন্তরে) অনেক ধরনের অপারেটর রয়েছে।
তিনি বলেন, এখানে আরসা (আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি) এর কোনো উপস্থিতি নেই এবং বাংলাদেশ তার ভূখণ্ডে এ ধরনের কোনো বিদেশি সত্ত্বাকে প্রচার বা আশ্রয় দেয় না।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ স্থিতিশীলতার ইস্যুতে চীনের কাছে সমর্থন চেয়েছে এবং বিশ্বাস করে যে চীনা পক্ষ মিয়ানমারকে তা জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই বিষয়টি মিয়ানমারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সব দেশের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছে, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বিদ্বেষ নয়-এবং তারা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করে।
মোমেন বলেন, ‘আমরা সবার সঙ্গে কাজ করতে চাই। বাংলাদেশ অত্যন্ত ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি বজায় রাখে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের জন্য ইইউ’র ৬.২ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা অনুমোদন
তিস্তা প্রকল্প
তিস্তা-সংক্রান্ত একটি প্রকল্পে চীনের সম্ভাব্য সম্পৃক্ততা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, সরকারিভাবে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব এখনও পাননি।
তিনি অবশ্য একটি ফরাসি বিশেষজ্ঞ দলের ১৯৮৮-৮৯ সালের সফরের কথা উল্লেখ করেছেন, যারা বাংলাদেশে কীভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে বিষয়ে একটি ব্যাপক গবেষণায় (তিস্তাসহ) কাজ করেছেন।
প্রয়োজনীয় তহবিলের অভাবে সে সময় প্রকল্পটি নেয়া সম্ভব না হলেও সম্প্রতি পুরনো প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দের কথা শুনেছেন বলে জানান তিনি।
মোমেন সাংবাদিকদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জিজ্ঞাসা করতে উৎসাহিত করে বলেন, তারা হয়তো জানেন এখন কোন পর্যায়ে আছে।
গত ৯ অক্টোবর বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং রংপুর বিভাগ পরিদর্শন করেন এবং তিস্তা ব্যারেজে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।
সোমবার (১০ অক্টোবর) রাষ্ট্রদূত রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদীর ওপর সিএসসিইসি কর্তৃক নির্মাণাধীন সেতু প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সোমবার ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠক
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী সোমবার। এ উপলক্ষে দুই দেশ তাদের সম্পর্ক ‘উন্নত ও গভীর’ করতে চায়।
সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। বৈঠকটি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির স্থানীয় সময় দুপুর একটায় অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য বৈঠকের একদিন আগে রবিবার ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলামও যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক সম্প্রসারণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র: ব্লিঙ্কেন
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের আমন্ত্রণে দেশটিতে সরকারি সফরকালে মোমেন ইউএসএআইডি প্রশাসক সামান্থা পাওয়ারের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।
এদিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস রবিবার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর পরিদর্শন করে একাত্তরের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং ঢাকা ও ওয়াশিংটনের বন্ধুত্বের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
১৯৭২ সালের ৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা একটি জটিল বিষয়: যুক্তরাষ্ট্র
২ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে জন কেরি ঢাকায়
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি শুক্রবার সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন।
বিশ্বব্যাপী জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতিশ্রুতিকে এগিয়ে নিতে তিনি ঢাকা এসেছেন।
বেলা সাড়ে ১১ টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন ও তার স্ত্রী সেলিনা মোমেন কেরিকে গ্রহণ করেন। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ২২-২৩ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে ক্লাইমেট ইস্যুতে একটি সম্মেলনের দাওয়াত দিতে ঢাকায় এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিনি জো বাইডেনের পক্ষ থেকে এই সম্মেলনে অংশ নেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু-সহিষ্ণু উন্নয়ন করেছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
ভারত সফর শেষে কেরি টুইট করে বলেন, ‘প্যারিস চুক্তি জলবায়ু সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীদের আরও ক্ষমতায়নের বিশ্বব্যাপী প্রয়োজনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ‘তাই ভারতবর্ষে জলবায়ু পদক্ষেপ এবং শক্তি পরিবর্তনের জন্য চালিত নারী নেত্রীদের সাথে সাক্ষাতে আমি আনন্দিত।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র ইউএনবিকে জানান, ঢাকায় কেরি বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি এবং মূল উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে সাক্ষাত করবেন।
বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বৈঠকের আগে কেরি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এবং অন্যদের সাথে সাক্ষাত করবেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ুর কারণে বিশ্বে ২ কোটি মানুষ অভিবাসী হওয়ার আশঙ্কা
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি ও পরিবেশের মার্কিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মার্সিয়া বার্নিকাট বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেতৃত্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বকে একটি দুর্দান্ত অংশীদার হিসেবে প্রস্তাব করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪০ জন বিশ্বনেতাকে জলবায়ু সম্মেলনে আমন্ত্রণ করেছেন।
অনলাইনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই শীর্ষ সম্মেলন সর্বজনীন দেখার জন্য লাইভ স্ট্রিম হবে।
জলবায়ু শীর্ষক সম্মেলনটি শক্তিশালী জলবায়ুর তাৎপর্য এবং অর্থনৈতিক সুবিধাগুলো নির্দেশ করবে। এই নভেম্বরে গ্লাসগোতে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন (সিওপি২৬) হওয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি মূল মাইলফলক হবে।
ড. মোমেন ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা আমাদের অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো জানাতে পেরে খুশি হব। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাও আমরা তাদেরকে জানাব।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে অভিযোজন যথেষ্ট নয় এবং এটিকে প্রশমন করতে হবে এবং তাদের প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাংলাদেশের সমর্থন প্রয়োজন। এটি কেরির বিশেষ লক্ষ্য হওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল: মন্ত্রী
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ সমস্যা সৃষ্টি করেনি এবং নদীভাঙ্গন থেকে মানুষকে পুনর্বাসিত ও রক্ষার জন্য দায়িত্বশীল দেশগুলোর উচিত দায়িত্ব ভাগ করে নেয়া।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জকে জোর দিয়ে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্ব গভীর জলবায়ু সংকটের মুখোমুখি এবং আমাদের বৈদেশিক নীতি, কূটনীতি এবং জাতীয় সুরক্ষার কেন্দ্রবিন্দু জলবায়ু পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে হওয়া উচিৎ।’
প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্যারিস চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য অফিসের প্রথম দিনেই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
পরের দিন ২৭ জানুয়ারি, তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় প্রধান অর্থনীতিবিদদের প্রচেষ্টার উদ্যোগের জন্য তিনি শিগগরই নেতাদের একটি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করবেন।
৩ বছর আগে
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর 'ডি-৮ কাউন্সিল অব মিনিস্টার্স' এর সভাপতিত্ব গ্রহণ
আসন্ন দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের স্বাগতিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বুধবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে ডি-৮ কাউন্সিল অব মিনিস্টার্স- এর ১৯-তম সভা আয়োজন করে। উক্ত সভায় তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মেভলুত চাভুসৌলু বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের কাছে ডি-৮ কাউন্সিল অব মিনিস্টার্স-এর সভাপতির পদ হস্তান্তর করেন। উক্ত সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন এবং ডি-৮ ভূক্ত দেশসমূহের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।
সভার শুরুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ডি-৮ কাউন্সিল অব মিনিস্টার্স- এর সভাপতি হিসেবে তার মেয়াদ সফলভাবে সমাপ্ত করার জন্য অভিনন্দন জানান। এছাড়াও তিনি ডি-৮ কে আরো সচল ও বেগবান করার লক্ষ্যে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ডি-৮ মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: মোদির বাংলাদেশ সফরে সাধারণ মানুষ খুশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ১৯৯৯-২০০১ মেয়াদে সফলভাবে ডি-৮ এর সভাপতিত্বের দায়িত্ব সম্পন্ন করে এবং দুই দশক পর দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো ডি-৮ এর সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করবে। ড. মোমেন আরও উল্লেখ করেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের সন্ধিক্ষণে বাংলাদেশ এলডিসি গ্রুপ থেকে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা সফলভাবে পূরণ করেছে। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে ডি-৮ এর সভাপতিত্ব লাভ বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত আনন্দের।
ড. মোমেন জানান ডি-৮ দেশসমূহের মধ্যে সম্মিলিত জনসংখ্যার ১৯ শতাংশই তরুণ। ড. মোমেন আরো উল্লেখ করেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে যুব সমাজের অফুরন্ত সম্ভাবনা আবিষ্কারের গুরুত্ব অনুধাবন করে বাংলাদেশ দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য “পার্টনারশিপ ফর এ ট্রান্সফরমেটিভ ওয়ার্ল্ড: হার্নেসিং দ্য পাওয়ার অব ইয়থ অ্যান্ড টেকনোলোজি" নির্ধারণ করেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুব সমাজকে সহায়তা করার জন্য ড. মোমেন ডি-৮ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আহ্বান জানান। যেহেতু ডিজিটাল যুগে টেকনোলোজি এবং উদ্ভাবনী দক্ষতাসম্পন্ন কর্মী প্রয়োজন, সেহেতু, এ সম্ভাবনাময় তরুণ সমাজকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে খাপ খাইয়ে নেয়া এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে তাদেরকে সহায়তার লক্ষ্যে ডি-৮ উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নরেন্দ্র মোদির ধন্যবাদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে এবং এর অর্থনৈতিক নেতিবাচক প্রভাব থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহের কথা তুলে ধরেন। কোভিডের কারণে সৃষ্ট এ অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে তিনি ডি-৮ সদস্য রাষ্ট্রের নাগরিকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য “ডি-৮ ডিজিটাল মার্কেট প্লেস" এবং সবার জন্য প্রযোজ্য একটি সহনশীল মহামারি পরবর্তী সহযোগিতার মডেল প্রস্তুত করা যেতে পারে মর্মে উল্লেখ করেন।
এছাড়াও, বিশ্ব অর্থনীতির উপর কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব দূরীকরণের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডি-৮ দেশসমূহের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরো উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ পণ্যের পাশাপাশি সেবা ক্ষেত্রেও মুক্ত এবং ন্যায়সঙ্গত প্রবেশের অধিকারে বিশ্বাস করে।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় একযোগে কাজ করার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
উক্ত সভায় অন্যান্য ডি-৮ ভূক্ত দেশসমূহের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও বক্তব্য প্রদান করেন এবং ডি-৮ মহাসচিব ২০১৯ হতে অদ্যাবধি ডি-৮ এর কার্যক্রমসমূহ তুলে ধরেন। তারা ডি-৮ সচিবালয় গৃহীত পদক্ষেপসমূহ কাউন্সিলে পর্যালোচনা করে এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ২০২২ সালের প্রথমার্ধে ঢাকায় পরবর্তী ডি-৮ কাউন্সিল অব মিনিস্টার্স সভা আয়োজন করবে বলে আশা করছে।
৩ বছর আগে
উটের জকি হিসেবে বাংলাদেশি শিশুদের ব্যবহার শেষ হওয়ার গল্প
খুব বেশি বছর আগের কথা নয় যখন আমরা বাংলাদেশি শিশুদের নিজ বাড়ি থেকে অনেক দূরের বিভিন্ন আরব দেশে উটের জকি হিসেবে ব্যবহৃত হতে দেখেছি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে করুণ এই পরিস্থিতি পরিবর্তিত হলেও বাংলাদেশের শিশুদের উটের জকি হিসেবে ব্যবহার শেষ করার পেছনে রয়েছে অজস্র গল্প। আমরা ২০০৫ সালের আগস্টে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে উটের জকিদের প্রত্যাবাসনও দেখেছি।
৩ বছর আগে
বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোম্যাটিক টেনিস টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত প্রথম বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোম্যাটিক টেনিস টুর্নামেন্ট শনিবার উদ্বোধন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
৩ বছর আগে
সিঙ্গাপুরের ‘ফার্স্ট জেন্টলম্যান’ রোহিঙ্গাদের জন্য উপহার পাঠিয়েছেন: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, সিঙ্গাপুরের ফার্স্ট জেন্টলম্যান মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল হাবশি ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের জন্য উপহার সামগ্রী পাঠিয়েছেন।
৩ বছর আগে
নতুন মার্কিন প্রশাসনের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি জন ব্লিংকেনকে অভিনন্দন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে নতুন মার্কিন প্রশাসনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করেছেন।
৩ বছর আগে
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের প্রশংসায় ওমান
ভাসানচরকে ‘অনুকূল এবং নিরাপদ’ হিসেবে অভিহিত করে কক্সবাজার থেকে কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তরিত করার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে ওমান।
৩ বছর আগে