বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়ে আলোচনা করতে ভারতসহ এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘বাংলাদেশের বিষয়ে, সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়ে আলোচনার জন্য আমরা আমাদের ভারতীয় অংশীদারদের পাশাপাশি এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সহিংসতা অবসানের পাশাপাশি জবাবদিহিতা ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধার জন্য আমরা চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছি।’
বুধবার (১৪ আগস্ট) ওয়াশিংটনে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্যাটেল বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত কূটনৈতিক আলোচনায় যাচ্ছি না।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা কংগ্রেসের শরিকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। তবে তিনি এ বিষয়ে নির্দিষ্ট চিঠি বা সম্পর্কের বিষয়ে বলতে রাজি নন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা নাকচ করে দিয়েছে হোয়াইট হাউস
তিনি আরও বলেন, দেশবাসীকে শান্ত থাকতে এবং সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের আহ্বানকে তারা স্বাগত জানিয়েছেন। পাশাপাশি নিরাপত্তা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের সুরক্ষায় নতুন সরকারের মনোযোগকেও স্বাগত জানান।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফাভ বুধবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকারের কথা উল্লেখ করে এসময় উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও জনগণ যেসব সংস্কার পরিকল্পনা করেছে তা সম্পন্ন হলেই (অন্তর্বর্তীকালীন) সরকার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য নির্বাচনের আয়োজন করবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।