সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ১৮ থেকে ২১ মার্চ বাংলাদেশ সফর করবেন।
গত বছরের অক্টোবরে ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর এটিই তার প্রথম আনুষ্ঠানিক মিশন।
জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ও ইউএনডিপির এক্সটার্নাল রিলেশনস অ্যান্ড অ্যাডভোকেসির পরিচালক উলরিকা মোদে ক্রাউন প্রিন্সেসের সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যতম স্বল্পোন্নত দেশ থেকে সাম্প্রতিক দশকগুলোতে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে গেছে। আমরা চরম দারিদ্র্য হ্রাস, নারী অধিকার জোরদার এবং জলবায়ু অভিযোজন, দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটালাইজেশনের মতো ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি দেখেছি।’
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ‘ইশারায় ভাষা শিক্ষার অভিধান’ চালু করল ইউএনডিপি
উলরিকা মোদে বলেন, একই সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন উভয় ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ এবং এখনও অনেক উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘ক্রাউন প্রিন্সেসের এই সফর বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং একটি স্থিতিস্থাপক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের দিকে অংশীদারিত্ব জোরদারের এক অনন্য সুযোগ।’
ক্রাউন প্রিন্সেসের সঙ্গে থাকবেন সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী জোহান ফরসেল।
সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, তরুণ শিক্ষার্থী ও উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী নেতা এবং জাতিসংঘ সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
ক্রাউন প্রিন্সেস বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে দারিদ্র্য বিমোচনে অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল উন্নয়নের ইতিবাচক প্রভাব প্রত্যক্ষ করতে এবং সরকার ও ইউএনডিপি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমনে নারী ও তরুণ উদ্যোক্তাদের নেতৃত্বে গৃহীত উদ্যোগগুলো ঘুরে দেখবেন।
আরও পড়ুন: বায়ু দূষণ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ইউএনডিপির প্রচারাভিযান
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সহায়তার বিষয়টিও তুলে ধরা হবে সফরে।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বলেন, ‘ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার স্থায়িত্ব, দারিদ্র্য বিমোচন, জলবায়ু কর্ম এবং সমতার জন্য একটি দীর্ঘ এবং দৃঢ় প্রতিশ্রুতি রয়েছে। ইউএনডিপিতে ক্রাউন প্রিন্সেসকে বাংলাদেশে স্বাগত জানাতে পেরে এবং স্থানীয়ভাবে পরিচালিত উন্নয়ন মডেল প্রচারে আমাদের প্রচেষ্টা প্রদর্শন করার সুযোগ পেয়ে আমরা সম্মানিত বোধ করছি। যা সবার জন্য একটি সবুজ, আরও স্থিতিস্থাপক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের দিকে কার্যকরভাবে অবদান রাখবে।’
এই ভূমিকায় ক্রাউন প্রিন্সেস টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সচেতনতা ও সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যেখানে কেউ পিছনে পড়ে থাকবে না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সভাপতিত্বে ইউএনডিপি-ইউএনএফপিএ-ইউএনওপিএসের প্রথম আঞ্চলিক অধিবেশন সমাপ্ত