বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগে অবিরাম বিঘ্ন ঘটায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশজুড়ে চলমান টেলিযোগাযোগ ব্যাহত হওয়ার খবরে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই পরিস্থিতি সেখানকার আমেরিকান নাগরিকসহ দেশটির জনগণের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যে প্রবেশাধিকার সীমিত করে দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য দেশেও তারা এর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন এবং বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তারা এর বিরুদ্ধে কথা বলছেন।
এসব বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সবসময় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলে জানান মিলার।
এর আগে মিলার বলেন, তারা বাংলাদেশের ঘটনাগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা 'শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ' সমর্থন করে, কিন্তু সব ক্ষেত্রেই তা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা উচিত।
এদিকে বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কিছু এলাকায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হয়েছে। পুরোপুরি ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে এখনও কাজ চলছে।
হামলাকারীরা জাতীয় ডাটা সেন্টার ও অপটিক্যাল ফাইবারের মতো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালালে দেশব্যাপী ইন্টারনেট সংযোগ ব্যাহত হয়।
এখন দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে এবং কারফিউ শিথিলের মধ্যে বুধবার (বেলা ১১টা থেকে বেলা ৩টা) সরকারি-বেসরকারি অফিস কার্যক্রম আবারও চালু হয়েছে।
শিগগিরই দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দুয়েকদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।