একুশে পদক পাওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্যকে অবশেষে হার মানতে হল অসুস্থতার কাছে।
বিশ্বরেকর্ড গড়তে সোমবার সকালে সিলেট থেকে ২৮৫ কিলোমিটার দূরে ভৈরবে পৌঁছার লক্ষ্য নিয়ে সাঁতার শুরু করেন তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে সুনামগঞ্জ থানার রঙ্গারচর ইউনিয়নের হরিপাটি নামক স্থানের পাশের সুরমা নদীতে অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে নৌকায় তোলা হয় এবং যাত্রা স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্ব রেকর্ড গড়তে সাঁতার শুরু করেছেন ৭০ বছরের বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্ষিতীন্দ্র
সাঁতার প্রতিযোগিতায় নেমে পানিতে ডুবে কমিশনারের মৃত্যু
মঙ্গলবার তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধারের পর সেখানে উপস্থিত চিকিৎসকরা জানান, যেহেতু বৃষ্টি হয়েছিল আর নদীর পানি প্রচুর ঠাণ্ডা তাই আজ সকাল থেকেই উনার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল, আমরা বার বার অনুরোধ করলেও উনি উনার গন্তব্যে যাওয়ার প্রত্যয়ে সাঁতার চালিয়ে গেলেও অবশেষে শরীরের কাছে হার মানতে হয়েছে। উনি প্রায় ৩৩ ঘণ্টা সাঁতার কেটে ৮৩ কিলোমিটার জলপথ পাড়ি দিয়েছেন।
এর আগে বিশ্বরেকর্ড গড়তে সোমবার সকালে সিলেট থেকে সাঁতার শুরু করেছিলেন ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য। নগরীর সুরমা কিনব্রিজ পয়েন্ট সংলগ্ন চাঁদনিঘাট থেকে সাঁতার শুরু করেন তিনি।
তার ২৮৫ কিলোমিটার সাঁতরে কিশোরগঞ্জের ভৈরব ফেরিঘাটে পৌঁছানোর কথা ছিল। এতে প্রায় ৭০ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে তার ধারণা ছিল। এইটুকু পথ সাঁতরে যেতে পারলে টানা সাঁতারের বিশ্বরেকর্ড হবে বলেও জানিয়েছিলেন ক্ষিতীন্দ্র।
তার এই সাঁতারে সার্বিক সহযোগিতায় থাকা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সিলেট জেলা ইউনিট কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়া সাঁতারু আ. মালেককে কেউ মনে রাখেনি