সোমবার (২৯ জুলাই) বিশ্ব বাঘ দিবস। দিনটি উপলক্ষে বাঘ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টিতে সুন্দরবনের আশপাশে বসবাসরত শিশু-কিশোরদের নিয়ে এক অনুষ্ঠান উদযাপন করেছে ওয়াইল্ডটিম।
২০১০ সালের সেন্ট পিটার্সবার্গ বাঘ সম্মেলনে বিশ্বের ১৩টি বাঘ অধ্যুষিত দেশের নেতারা বন্য বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন। দেশে বাঘ সংরক্ষণে আমাদের অঙ্গীকার পূরণে বাঘের আবাসস্থলের আশপাশে বসবাসরত সম্প্রদায়গুলোকেও এই কর্মসূচিতে যুক্ত করতে হবে।
সুন্দরবন দেশের বাঘের একমাত্র আবাসস্থল। বাঘ সুন্দরবনের রাজা এবং বনের আশপাশের জনগোষ্ঠীগুলোও সেখানকার বাঘগুলোকে সমীহ করে চলে।
বন বিভাগের সহায়তায় সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণের জন্য স্থানীয় সম্প্রদায়গুলোকে এই কর্মসূচিতে সফলভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে ওয়াইল্ডটিম। শিকারীরাই যদি বাঘে রক্ষাকর্তা হয়ে ওঠে, তাহলে এখানকার জনপদ জাতীয় এই প্রাণীটি রক্ষায় সামাজিক রাজধানীতে পরিণত হতে পারে।
বর্তমানে সুন্দরবনের আশপাশের ৭৬টি গ্রামে বিপদাক্রান্ত বাঘের সেবায় ৪৯টি দলে ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিমের (ভিটিআরটি) ৩৪০ জন সদস্য রয়েছেন। সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণের জন্য কাজ করছে ৫৫ জন ‘বাঘবন্ধু’ এবং ৫০ জন ‘টাইগার স্কাউট’।
বন বিভাগের সহায়তায় সুন্দরবনের ভেতর থেকে বাঘ উদ্ধার করতে ওয়াইল্ড টিমের টাইগার অ্যাম্বুলেন্স ২৪ ঘণ্টা কার্যকর রয়েছে। আইটিএইচসিপির সহায়তায় ওয়াইল্ডটিম সুন্দরবন-সংলগ্ন তিনটি গ্রামকে ‘বাঘ সহিষ্ণু গ্রাম’ ঘোষণা করেছে।