চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের মোট পরিমাণ ২৪.১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম৬ পদ্ধতি অনুযায়ী বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ ১৮ হাজার ৬৩৩.৫ মিলিয়ন।
পটুয়াখালী-১ আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত মোট রিজার্ভের পরিমাণ দিয়ে সাড়ে চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ভোলা-২ আলী আজমের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাময়িক হিসাব অনুযায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৮৪ ডলার।
বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সাধারণত একটি দেশের তিন মাসের আমদানি ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা থাকলে তা রিজার্ভ সংকট হিসেবে বিবেচিত হয় না।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় ২৪.৪০ বিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে প্রায় পাঁচ মাসের আমদানি দায় পরিশোধ করতে সম্ভব।’
কিশোরগঞ্জ-৫ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন প্রশ্ন রাখেন, ‘এটা কি সত্য যে, দুই-তৃতীয়াংশ ব্যবসায়ী দুর্নীতি, আমলাতন্ত্র ও বৈদেশিক মুদ্রার অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে দেশে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা বলে মনে করেন?’
ব্যবসা-বাণিজ্যে দুর্নীতি বন্ধে সরকার কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে কি না, তাও জানতে চান ক্ষমতাসীন দলের এই সংসদ সদস্য।
লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ১০ হাজার ৫৭২ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তিনি আরও জানান, এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে।