চীনের কনসোর্টিয়াম অব এনভিশন এনার্জি (জিয়াংসু) কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশের এসকিউ ট্রেডিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং হংকং ভিত্তিক এনভিশন অব রিনিওয়েবল এনার্জি লিমিটেড বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) সাথে ২০ বছর মেয়াদি চুক্তিতে যৌথভাবে কেন্দ্রটি স্থাপন করবে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিপিডিবিতে এ বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২০ বছরের চুক্তিতে ১০ টাকা ৫৬ পয়সা (১৩.২০ মার্কিন সেন্ট) কিলোওয়াট পার আওয়ার (প্রতি ইউনিট) মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, দেশে স্থাপিত হতে যাওয়া প্রথম বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে নিদিষ্ট মেয়াদে বিদ্যুৎ কিনতে সরকারে ব্যয় হবে ২ হাজার ৩৫ কোটি ১২ লাখ টাকা।
চীন-বাংলাদেশ কনসোর্টিয়ামটি এ প্রকল্পের জন্য আমন্ত্রিত দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়া একক দরদাতা ছিল বলে জানিয়েছেন বিপিডিবি এক কর্মকর্তা।
টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) মতে, ২০২০ সালের মধ্যে মোট ১১২২ মেগাওয়াট ক্ষমতার বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বিপিডিবি এখন পর্যন্ত মোট ২.৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার তিনটি ছোট বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে পেরেছে।
এর আগে, ২০১৫ সালের মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের টেলর ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ, ডেনমার্কের পিএইচ-পরামর্শদাতা গ্রুপ এবং বাংলাদেশের মাল্টিপ্লেক্স গ্রিন এনার্জির যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ইউএস-ডিকে গ্রিন এনার্জি (বিডি)-এর সাথে ৬০ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল বিপিডিবি। এতে কক্সবাজারের মহেশখালী নদীর দক্ষিণ-পূর্বে কুরুশকুলে কেন্দ্রটি স্থাপন করার কথা ছিল। কিন্তু তারা গত ৫ বছরেও প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে।