সদ্য ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিতে যুক্তরাজ্য সরকারের অস্বীকৃতি জানানোর পর আশ্রয়ের জন্য তিনি বিকল্প খুঁজছেন। যেসব দেশে তার পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন, শেখ হাসিনা সেসব দেশে চলে যাওয়ার কথা ভাবছেন বলেও প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
ফার্টপোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার মেয়ে দিল্লিতে, ছেলে যুক্তরাষ্ট্রে এবং ভাতিজা ফিনল্যান্ডে থাকেন।
স্বল্প সময়ের নোটিশে বর্তমানে ভারতে রয়েছেন শেখ হাসিনা এবং কোনো সরকার তাকে আশ্রয় দিতে রাজি হলে তিনি অন্য দেশে চলে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার শপথ নেবেন ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: সেনাপ্রধান
তার সরকারের বিরুদ্ধে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভকালে রবিবার (৪ আগস্ট) শতাধিক আন্দোলনকারী নিহতের পর সোমবার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি। প্রাথমিকভাবে, তিনি লন্ডনে আশ্রয় নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন, তবে যুক্তরাজ্যের প্রত্যাখ্যানের পর তাকে বিকল্প আশ্রয় বিবেচনা করতে হচ্ছে।
বিকল্পগুলোর মধ্যে একটি হলো যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় থাকেন। তবে ক্ষমতায় থাকাকালে তার সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনামূলক অবস্থানের কারণে তাকে সেখানে আশ্রয় দেওয়ার সম্ভাবনা কম।
নাগরিক হিসেবে শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করতে পারলেও দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকায় বর্তমানে তার রাজনৈতিক আশ্বাস প্রয়োজন। উদারপন্থী পাশ্চাত্যেও তিনি এই জাতীয় গ্যারান্টি ছাড়া আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারেন। যে কারণে নিশ্চয়তা ছাড়াই পশ্চিমা দেশে তিনি যাবেন, এমন সম্ভাবনা কম।
আরও পড়ুন: দেশে ফেরার আগে দেশবাসীর প্রতি ড. ইউনূসের আহ্বান
দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন অনুসারে, শেখ হাসিনার আরেকটি সম্ভাব্য গন্তব্য হতে পারে ফিনল্যান্ড, যেখানে তার ভাতিজা রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক রয়েছেন। রাদওয়ান শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার ছেলে, যিনি তার সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে বর্তমানে ভারতে রয়েছেন।
পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব বিকল্প ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, বেলারুশ বা কাতারে অস্থায়ী বসবাসের কথা ভাবছেন হাসিনা।