সব হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এবং সমাবেশ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেকোনো হত্যাকাণ্ডের তদন্ত হওয়া উচিত। আমরা হত্যাকাণ্ড ঘটতে দিতে পারি না ‘
দুই দিনের সফর শেষ করার আগে তুর্ক বুধবার (৩০ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও উপদেষ্টাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
জাতিসংঘের দলটি ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে এক মাস সময় নিতে পারে।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক ভালো: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এর আগে, জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন পরিচালনার জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন।
বিক্ষোভের সময় সংঘটিত লঙ্ঘন ও নির্যাতনের বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি, মূল কারণগুলো বিশ্লেষণ এবং ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা এগিয়ে নিতে এবং দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের জন্য সুপারিশ করার লক্ষ্যে জাতিসংঘের দপ্তরটি বাংলাদেশে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম মোতায়েন করেছে।
গত আগস্টে ভলকার তুর্ক বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকারীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করেন।
সম্প্রতি নিউইয়র্ক সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস সুখী ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথে বাংলাদেশের নতুন যাত্রায় বিদেশি বন্ধুদের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, তারা নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে চলমান সম্পর্কের অংশ হিসেবে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার একটি আগাম পর্যবেক্ষক দল ২২ থেকে ২৯ আগস্ট বাংলাদেশ সফর করেন। তারা সেসময় সাম্প্রতিক বিক্ষোভের ছাত্রনেতাদের পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আইনজীবী, সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মী, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘ফুল টাইম’ প্রশাসক পাচ্ছে সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা ও পৌরসভা
বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ চার বছর হওয়া উচিত: উপদেষ্টা