রংপুরের হারাগাছে পুলিশের বিরুদ্ধে তাজুল ইসলাম (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। রংপুরের পুলিশ কমিশনারের সাথে কথা বলে বিস্তারিত ঘটনা এবং এ ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা আদালতকে জানাতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্তকে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মৌখিকভাবে এই নির্দেশ দেন। আগামীকাল এ বিষয়ে বিস্তারিত শুনানি নিয়ে আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।
এ ঘটনায় আজ দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি সংবাদ হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে আবেদন জানান ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। পরে এ আদেশ দেন উল্লেখ করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনার পুরো বিষয় নিয়ে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনারের সাথে কথা বলে আগামীকাল তা আদালতকে জানাব।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: আদালতে ভোলার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
গতকাল সোমবার রংপুরের হারাগাছে পুলিশের বিরুদ্ধে তাজুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হারাগাছের নতুন বাজার বছি বানিয়ার তেপতি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাজুল ইসলাম উপজেলার হারাগাছ নয়াটারী দালালহাট গ্রামের বাসিন্দা। তাজুল ইসলামকে আটকের পর পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হারাগাছ থানা ঘেরাও করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। সেসময় ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি গাড়ি। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আদালতের আদেশ অমান্য করায় ওসিকে তলব
স্থানীয়রা জানান, হারাগাছ থানা পুলিশ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হারাগাছ পৌর এলাকার নতুন বাজার বছি বানিয়ার তেপথি মোড়ে অভিযানে যায়। সেখানে তাজুল ইসলামকে মাদকসহ আটকের পর মারধর করে পুলিশ। পুলিশের মারধরে তিনি জ্ঞান হারান। একসময় পুলিশ তাকে ধাক্কা দিলে পাশে দেয়ালে আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এর প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে ভাঙচুর চালায় এলাকাবাসী। তবে, মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে সে মাদকাসক্ত বলে দাবি করেন পুলিশ।