দেশজুড়ে ‘শাটডাউন’-এর শুরুতেই রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দাঙ্গা পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।
বাড্ডা, মেরুল, উত্তরা, ধানমন্ডি, মতিঝিল ও আরামবাগে সংঘর্ষকালে পুলিশকে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়তে দেখা গেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করেছে সরকার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়তে শুরু করলে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন আবাসিক এলাকাগুলোর অলি-গলিতে ছড়িয়ে যেতে থাকে। সংঘর্ষে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বাসিন্দারা।
এদিকে পুলিশ ও বিজিবির সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতি উপেক্ষা করে বাড্ডা ও এর আশপাশের এলাকায় রাস্তায় নেমে এসেছে বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও এর কাছাকাছি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা।
উত্তরায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
বৃহস্পতিবারের প্রথম কয়েক ঘণ্টার সহিংসতায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে বুধবার রাতে যাত্রাবাড়ীতে সংঘর্ষে ১৮ বছর বয়সী এক কিশোর নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের প্রথম কয়েকদিনে আহত হয়েছে শতাধিক।
শাটডাউনের সকালে রাজধানীর চিরচেনা যান চলাচল ছিল না। প্রায় ফাঁকা রাস্তায় কয়েকটি বিআরটিসির দ্বিতল বাস চলতে দেখা যায়। গণপরিবহনের অনুপস্থিতিতে রাজপথ ছিল রিকশার দখলে। কোনো গণপরিবহন না থাকায় হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে অনেককে।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ভাষণে কোটা প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের রায় না হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে আন্দোলনকারীদের প্রতি আহ্বান জানানোর পরপরই শাটডাউনের ডাক দেয় শিক্ষার্থীরা।
আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় রায় নিয়ে তারা হতাশ হবে না বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় আন্দোলন চলাকালে হত্যাকাণ্ডের অপরাধীদের চিহ্নিত করতে বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা।