কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক ডিবি অফিস থেকে চলে গেছেন বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, 'তারা আমাদের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। এ ব্যাপারে জিডিও করা হয়েছিল। এখন তারা বলছেন তাদের আর নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই। যখন তারা চলে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, চলে যেতে আমরা কোনো বাধা দেইনি। তারা চলে গেছেন।'
সমন্বয়কদের ডিবি অফিসে নেওয়ার বিষয়ে করা মামলা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, '৬ সমন্বয়ককে ডিবি অফিসে নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার জন্য। সেটাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট ডিভিশনে একটা মামলা করা হয়েছিল। মামলার একজন বিচারপতি অসুস্থতার কারণে ছুটিতে থাকায় শুনানি হচ্ছে না।’
এর আগে গত শুক্রবার বিকালে ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে শনিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকে হেফাজতে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ।
ডিবি হেফাজতে থাকা অবস্থায় সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন সমন্বয়কেরা।
এ ঘোষণায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। চাপ প্রয়োগ করে কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ আসতে থাকে। সমন্বয়কদের পরিবারের পক্ষ থেকেও তাদের বাসায় যেতে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
গণগ্রেপ্তার প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘গণহারে গ্রেপ্তারের একটা কথা উঠেছে। প্রসিকিউশন আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে, বিচার বিভাগ কিন্তু স্বাধীন। প্রসিকিউশনকে নির্দেশনা দিয়েছি যারা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, যারা এইচএসসি পরীক্ষার্থী, যারা মাইনর- তাদের জামিন দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে আইন আছে যে অপরাধ করেছে সে কিন্তু আইনের আওতায় এসেছে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।’