টেকসই উন্নয়নের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দেশের সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে পরিবেশ সংরক্ষণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। টেকসই কৃষি ও নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস গ্রহণে অগ্রগতির ক্ষেত্রে এটি প্রয়োজন।
বুধবার বার্লিন এনার্জি ট্রানজিশন ডায়ালগ ২০২৪-এ 'ডায়ালগ হাব: এনার্জি-ওয়াটার-ফুড নেক্সাস: হোলিস্টিক সলিউশনস ফর ফুড অ্যান্ড ওয়াটার সাপ্লাই পাওয়ার্ড বাই রিনিউয়েবলস' শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বাংলাদেশ যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করছে, বিশেষ করে ডিজেল থেকে সৌর সেচ পাম্পে রূপান্তরের ক্ষেত্রে সেটি তুলে ধরেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।
এই পরিবর্তনের লক্ষ্য কেবল কার্বন নিঃসরণ কমানো নয় বরং ভূগর্ভস্থ পানি সম্পদ সংরক্ষণ করা যার মাধ্যমে পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখা যায়।
২০৩১ সালের মধ্যে ৪৫ হাজার সৌর সেচ পাম্প স্থাপনের পরিকল্পনা প্রকাশ করেন হামিদ। এই পাম্পগুলো থেকে সারাদেশের প্রায় ১.৩ মিলিয়ন কৃষক উপকৃত হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এই উদ্যোগ ডিজেলের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব প্রশমিত করবে।
ভূগর্ভস্থ পানির মাত্রাতিরিক্ত উত্তোলন রোধে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার ও বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি টেকসই উন্নয়ন অর্জনে উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা, আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণ, আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ভূমিকা তুলে ধরেন।
প্রযুক্তি হস্তান্তরে জার্মানিসহ উন্নত দেশগুলোকে অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটির প্রচেষ্টার লক্ষ্যে আয়োজিত বার্লিন এনার্জি ট্রানজিশন ডায়ালগ ২০২৪-এ জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ভাষণ দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা।