সাবেক তিন এমপি, মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুদকের মুখপাত্র ইউএনবিকে বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আখতারুজ্জামান বাবু দুদকের তদন্তের তালিকায় রয়েছেন।
দুদক গোয়েন্দা সংস্থার প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, নুরুজ্জামান আহমেদ করোনা মহামারির সময় নিয়োগ বাণিজ্য, ভুয়া রোগী দেখিয়ে সরকারি অনুদানের টাকা উত্তোলন এবং প্রশিক্ষণ প্রদান ছাড়াই বিল আদায়ের কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন।
তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার মায়ের নামে করিমপুর নূরজাহান-শামসুন্নাহার মা ও শিশু বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও নিজের এবং স্ত্রী-পরিবারের নামে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করতেও ক্ষমতার অপব্যবহার করেন তিনি।
কমিশন গণতদন্ত শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানান দুদক কর্মকর্তা।
হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন খাতে তার স্বজনদের নামে সিন্ডিকেট তৈরি করে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছেন।
অন্যদিকে আখতারুজ্জামান বাবু সংসদ সদস্য হয়েও নানা অনিয়ম-দুর্নীতিসহ নানা দুর্নীতি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।
দেশের আইন অমান্য করে নিজস্ব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জামান এন্টারপ্রাইজেসের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরের কার্যাদেশ নিতেন তিনি।
রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে বাড়ি ও ফ্ল্যাট ক্রয়সহ স্ত্রী ও নিজের সন্তানদের নামে পাওয়া বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্যও সংগ্রহ করেছে দুদক।