কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের একজন সিস্টেম এনালিস্টের কাছ থেকে কয়েকজন সাংবাদিক অনৈতিকভাবে আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন এমন মৌখিক বক্তব্যের ভিডিওচিত্র বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার এবং পুলিশ হেফাজতে থাকা ব্যক্তির বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি (ডিআরইউ)।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুল ইসলাম শামীম ও সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের দাবি জানান সংগঠনের নেতারা।
এত বলা হয়, দুর্নীতির অভিযোগে পুলিশ হেফাজতে থাকা একজন ব্যক্তির কয়েকজন সংবাদিকর্মী নিয়ে দেওয়া বিতর্কিত বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া নৈতিকতা বিরোধী, উদ্যেশ্যপ্রণোদিত এবং আইনের লঙঘন। অভিযোগের পক্ষে তথ্য প্রমাণ থাকলে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচারের আওতায় আনার আহবান জানায় ডিআরইউ।
নেতারা বলেন, অবৈধভাবে আর্থিক লেনদেনসহ যে কোনো ধরনের বেআইনী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী। সংগঠনের কোনো সদস্য বেআইনী কাজ করলে তাকে সুরক্ষা করা যেমন সংগঠনের কাজ নয়, একইভাবে তদন্ত শেষ না করে এবং বিচারে দোষী প্রমাণিত হওয়ার আগে শুধু একজনের মৌখিক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা গণমাধ্যম কর্মীদের বিব্রত করার হীণ মানসিকতা বলে মনে করেন ডিআরইউ নেতারা।
অবিলম্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বিতর্কিত অডিও-ভিডিও কন্টেন্ট প্রত্যাহারের পাশাপাশি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান ডিআরইউ নেতারা।
উদ্ভুত পরিস্থিতিকে পুঁজি করে কেউ যেন সাংবাদিক সমাজকে বিতর্কিত করতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানান সাংবাদিক নেতারা।