পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৃহীত নীতির ভিত্তিতে একটি সমৃদ্ধ, জ্ঞানভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক দেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ এবং তথ্য ভিজ্যুয়ালাইজেশন সিস্টেম ভবিষ্যতের নীতি তৈরির প্রয়োজনীয়তা বাড়িয়ে তুলবে। সেই লক্ষ্যকে মাথায় রেখে, নতুন প্রতিষ্ঠিত নিউরাল নেটওয়ার্ক তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে কোভিড-১৯ বা রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের মতো যেকোনো সংকটের প্রয়োজনীয় অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করতে সক্ষম হবে।’
রবিবার(১৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘ইনোভেশন ল্যাব অ্যান্ড ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ফান্ড’ উদ্বোধনকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফান লিলিয়ার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং এটুআই-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলো কার্যত এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে ওআইসি সদস্যদের দায়িত্ব নিতে হবে: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, সরকারের বাস্তবমুখী উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশ এখন অসীম সম্ভাবনাময় একটি প্রাণবন্ত অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত অর্থনৈতিক কূটনীতিভিত্তিক কর্মকাণ্ডের উল্লেখ করেন যা রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের উন্নত সেবা প্রদানের জন্য শুরু করা হয়েছে।
মোমেন স্মার্ট নাগরিক তৈরির জন্য দেশীয় সম্পদ ব্যবহার এবং দক্ষতার সঙ্গে সাশ্রয়ী সৃজনশীল সমাধান উদ্ভাবনের উপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
তিনি তার বক্তব্যে উন্নত জনসেবা প্রদানে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পররাষ্ট্র সচিব আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে ইনোভেশন ল্যাব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইসিটি সক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে এবং ভবিষ্যত বিশ্বের প্রযুক্তিগত সক্ষমতার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করবে।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি এবং আইসিটি শাখার মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মুনতাসির মামুন।
আরও পড়ুন: উন্নত দেশগুলোকে প্রতিরক্ষা ব্যয়ের ১০% জলবায়ু তহবিলে বরাদ্দ করা উচিত, মোমেনের প্রস্তাব