এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়ার পর থেকে ৯টি ফিউশন গান প্রকাশ করার পর, ‘হেই সামালো’ প্রকাশের মধ্য দিয়ে শেষ হলো কোক স্টুডিও বাংলার প্রথম সিজন।
কোক স্টুডিও বাংলার টিম বৃহস্পতিবার রাতে হোটেল রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে ৫০০ ভক্তের জন্য বিশেষ প্রদর্শনীর মাধ্যমে গানটি প্রকাশ করা হয়।
হেই সামালো শ্রদ্ধা জানাতে চায় বাংলাদেশিদের অদম্য চেতনা ও বিদ্রোহী চরিত্রের প্রতি। ১৯৪৬- ১৯৪৮ তেভাগা আন্দোলনের নিয়ে সলিল চৌধুরীর লেখা ‘হেই সামালো’ও আবদুল লতিফের লেখা ‘ওরা আমার মুখের ভাষা’ গান দু’টির ফিউশনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। আবদুল লতিফের ‘ওরা আমার মুখের ভাষা’ গানটির প্রেক্ষাপট হলো ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, যার পেছনে বিশ্বাস ছিল মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানুষের একটি প্রধান অধিকার।
আরও পড়ুন: ‘নাসেক নাসেক’ গান দিয়ে কোক স্টুডিও বাংলার প্রথম সিজন শুরু
সিজনের সবচেয়ে বড় শৈল্পিক সহযোগিতা, ১৫ জন বিশিষ্ট গায়ক ও গায়িকা‘হেই সামালো’গানটি গেয়েছেন। শিল্পীরা হলেন- বাপ্পা মজুমদার, সামিনা চৌধুরী, শায়ান চৌধুরী অর্ণব, সুনিধি নায়ক, ঋতুরাজ বৈদ্য, দিলশাদ নাহার কনা, ওয়ার্দা আশরাফ, আরমিন মুসা, সানজিদা মাহমুদ নন্দিতা, মাশা ইসলাম, রুবায়ত রেহমান, জান্নাতুল ফিরদৌস আকবর, সিনহা হাসান, রিপন কুমার সরকার (বগা তালেব) এবং অনিমেস রায় ।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির মধ্যেও স্বস্তি দিল ‘কোক স্টুডিও কনসার্ট’
গানটির মিউজিক ভিডিওতে বান্দরবানের নাইখংছড়ির ম্রো সম্প্রদায়ের সঙ্গীতশিল্পীরাও রয়েছে। এতে তারা মন্ত্রমুগ্ধ বাঁশি পরিবেশন এবং লোক নৃত্য পরিবেশন করেছেন।
কোক স্টুডিও বাংলার সঙ্গীত প্রযোজক শায়ান চৌধুরী অর্ণব বলেন, আমরা বিভিন্ন ঘরানার এবং ব্যাকগ্রাউন্ডের সঙ্গীতজ্ঞ এবং শিল্পীদের একত্রিত করার প্রয়াসে গণসংগীত ব্যবহার করে ফাইনালের জন্য ভিন্ন কিছু আবিষ্কার করার চেষ্টা করেছি। সবাই একসঙ্গে সুন্দরভাবে গানটি গেয়েছেন এবং এই গানের মাধ্যমে আমরা যে বন্ধন তৈরি করেছি তা ছিল আসল জাদু।
অর্ণব বলেন, এই গানটি দেশের মানুষের অবিরাম চেতনাকে তুলে এনেছে এবং আমি আশা করি আমাদের শ্রোতারা একই আবেগ অনুভব করবেন।
আরও পড়ুন: ‘কোক স্টুডিও’র বাংলা’র যাত্রা শুরু
প্রথম গান ‘নাসেক নাসেক” দিয়ে শুরু করে প্রথম সিজনে বিভিন্ন ধারার চমৎকার সব গান প্রকাশ পেয়েছে। যার মধ্যে আছে ‘প্রার্থনা’, ‘বুলবুলি’, ‘ভবের পাগল’, ‘চিলতে রোদ’, ‘ভিন্নতার উৎসব’, ‘সব লোকে কয়’, ‘লীলাবালি’, ‘দখিন হাওয়া’, এবং সর্বশেষ ‘হেই সামালো’।