ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা। ভোটের প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, দেশটির সংস্কারপন্থী নেতা মাসুদ পেজেশকিয়ানকে পেছনে ফেলে কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন কট্টরপন্থী সাঈদ জালিলি।
শনিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রকাশিত খবরে এ তথ্য জানা গেছে। তবে জালিলি এখনই ইব্রাহিম রাইসির স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন বলে স্পষ্ট নয়। নির্বাচনে তুমূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
নির্বাচনের ফলাফলে এখনও কেউ জয়লাভ না করলেও বছরের পর বছর ধরে চলা অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং গণ বিক্ষোভের পর ইরানের ভোটাররা ফের শিয়া ধর্মতন্ত্রকে সমর্থন করে কি না, তা দেশটির ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ভোটাররা এবার তিনজন কট্টরপন্থী প্রার্থী এবং অল্প পরিচিত সংস্কারবাদী পেজেশকিয়ানের মধ্য থেকে তাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করছে। পেজেশকিয়ান পেশায় একজন হার্ট সার্জন।
আরও পড়ুন: ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন চলছে
ইরানে এবারের নির্বাচনে এক কোটির বেশি ভোট পড়েছে। এর মধ্যে জালিলির সমর্থক ছিল অন্তত ৪২ লাখ ৬০ হাজার, পেজেশকিয়ানের ৪২ লাখ ৪০ হাজার এবং আরেক প্রার্থী দেশটির সংসদের বর্তমান স্পিকার কট্টরপন্থী মোহাম্মদ বাঘের কালিবাফের সমর্থক ছিল অন্তত ১৩ লাখ ৮০ হাজার। এছাড়া শিয়া ধর্মগুরু মোস্তফা পুরমোহাম্মাদির ৮০ হাজারের বেশি ভোট রয়েছে।
১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে দেশটিতে নারী এবং সংস্কারপন্থীদের ভোটে দাঁড়াতে বাধা দিয়ে আসা হচ্ছে। কোনো আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাও দেশটির নির্বাচন পর্যবেক্ষণে যায়নি।
সরকার গঠন করতে হলে ইরানে একজন প্রার্থীকে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেতে হয়। তা না হলে শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে এক সপ্তাহ পর ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।
২০০৫ সালে একবারই এ ধরনের নির্বাচনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে ইরান। সেবার দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট আকবর হাশেমি রাফসানজানিকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন কট্টরপন্থী মাহমুদ আহমাদিনেজাদ।