দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দাইফকে লক্ষ্যবস্তু করার দাবি করে ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯০ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে ‘নিরাপদ’ এলাকা হিসেবে নির্ধারিত মুওয়াসির শরণার্থী শিবিরে হামলাটি চালানো হয়।
এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ৭১ জন নিহত ও ৩ শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়। আহতদের মধ্যে আরও বেশ কয়েকেজনের অবস্থা গুরুতর বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: হামাসের সামরিক শাখার প্রধানকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৭১
শনিবার ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কান টিভির খবরে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে মোহাম্মদ দাইফ ছিলেন কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের দাবি, তিনি ও হামাসের দ্বিতীয় কমান্ডার রাফা সালামাকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়।
অবশ্য ইসরায়েলের দাবি প্রত্যাখ্যান করে হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, দখলদারদের (ইসরায়েল) ফিলিস্তিনি নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করার দাবি এটিই প্রথম নয়, কিন্তু প্রতিবারই তাদের এসব দাবি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়।
হামাস মুখপাত্র জিহাদ ত্বহা বলেছেন, দাইফ হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলেন বলে যে দাবি করা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন এবং (গাজায় সংঘটিত) অপরাধ ও গণহত্যার ন্যায্যতা ও তা ধামাচাপা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এগুলো রটানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আল-শাতি শরণার্থী শিবিরের মসজিদে হামলা, ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত
মোহাম্মদ দাইফ বেশ কয়েক বছর ধরে ইসরায়েলের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকার শীর্ষে রয়েছেন। অতীতে ইসরায়েলের একাধিক হত্যাচেষ্টা থেকে রক্ষা পেয়েছেন তিনি।
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে আত্মগোপনে রয়েছেন হামাসের এই শীর্ষস্থানীয় নেতা। একাধিক গুপ্ত হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে যাওয়ার পর তিনি পক্ষাঘাতগ্রস্ত বলে ধারণা করা হয়। ইসরায়েলের প্রকাশিত একটি পরিচয়পত্রে তার ৩০ বছর বয়সী ছবিই এখন পর্যন্ত দেখা গেছে। এমনকি গাজায়ও খুব বেশি মানুষ তাকে দেখেননি।