চলমান মাঙ্কিপক্স প্রাদুর্ভাবে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে ৫৭০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রজার কাম্বা সোমবার (১৯ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছেন।
কঙ্গোর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনের বরাতে কাম্বা বলেছেন, চলতি বছরের শুরু থেকে কঙ্গোতে এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ৭০০টি নিশ্চিত বা সন্দেহজনকভাবে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে বলে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫৭০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি জানান, শুধু গত সপ্তাহে ১৫ হাজার ৬৬৪ জনের দেহে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, যা থেকে ৫৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাঙ্কি পক্স নিয়ে বিশ্ব জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারি
২০২২ সালের ডিসেম্বরে, মাঙ্কিপক্সকে জাতীয় মহামারি ঘোষণা করে কঙ্গো। ক্রমবর্ধমান শনাক্তের মধ্যে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে দেশটিতে জাতীয়ভাবে মহামারিটি নিয়ন্ত্রণ সংস্থা গঠনের পক্ষে অভিমত ওঠে।
কাম্বা বলেন, ‘আফ্রিকার ১৭টি দেশ এবং মহাদেশের বাইরের আরও কয়েকটি দেশে এই রোগ ছড়িয়েছে। তরুণ জনগোষ্ঠী, বিশেষত ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের এই ভাইরাস বেশি প্রভাবিত করছে।’
‘তবে আমি আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই যে, ভ্যাকসিন এই রোগ প্রতিরোধের একটি অংশ মাত্র। এই ভাইরাস থেকে প্রতিরক্ষার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা মেনে চলা।’
আগামী সপ্তাহে দেশটি মাঙ্কিপক্স ভ্যাকসিনের একটি চালান পাবে বলেও এসময় জানান তিনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গত বুধবার মাঙ্কিপক্সকে ‘বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করে। আগে এটি ‘মাঙ্কিপক্স’ নামে পরিচিত থাকলে বর্তমানে ‘এমপক্স’ নামটি সর্বজনীনভাবে বিশ্বজুড়ে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মাঙ্কি পক্স শনাক্তের পর পাকিস্তানের বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি