গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় বেইত লাহিয়া শহরে ইসরায়েলি বোমা হামলায় কমপক্ষে ৭৩ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।
হামাস পরিচালিত গাজা সরকারের গণমাধ্যম কার্যালয় জানিয়েছে, শনিবার বেইত লাহিয়ার কয়েকটি আবাসিক এলাকায় বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এতে আরও কয়েক ডজন আহত বা নিখোঁজ রয়েছে, যাদের বেশিরভাগই শিশু ও নারী।
এই হামলার জন্য ইসরায়েল, মার্কিন প্রশাসন এবং কিছু ইউরোপীয় দেশ সম্পূর্ণভাবে দায়ী বলে মন্তব্য করেছে হামাস।
এই হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ বলেন, উপত্যকা জুড়ে যুদ্ধ চলতে থাকায় শুক্রবার আরও ২০ হাজার মানুষ উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবির ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
গাজা শহর ও উত্তরাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে লাজারিনি বলেন, সর্বশেষ অবশিষ্ট হাসপাতালগুলোতে জ্বালানি ও চিকিৎসা সরবরাহের গুরুতর ঘাটতি দেখা গেছে।
শনিবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আভিচে আদ্রেই জাবালিয়া থেকে শত শত বেসামরিক লোককে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় জাবালিয়ায় অভিযান চালিয়ে ১৬২তম ডিভিশন বেশকিছু জঙ্গিকে নির্মূল করেছে এবং বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে হামাসের হামলায় ১২০০ জনের মৃত্যু ও ২৫০ জনকে জিম্মি করার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে বড় আকারের অভিযান শুরু করে। চলমান এ অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ৪২ হাজার ৫১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।