গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নিহতদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর)।
গাজা ও উপত্যকার অন্যান্য অঞ্চলে উদ্ভূত গুরুতর মানবিক সংকট তুলে ধরে ওএইচসিএইচআরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছরের ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গাজায় নিহত ৮ হাজার ১১৯ ফিলিস্তিনির পরিচয় যাচাই করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, নিহতদের মধ্যে ২ হাজার ৩৬ জন নারী এবং ৩ হাজার ৫৮৮ জন শিশু রয়েছে, সম্মিলিতভাবে যা মোট নিহতদের প্রায় ৭০ শতাংশ।
গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের নির্মমভাবে লক্ষ্যবস্তু করা এবং আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের নিন্দা জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব কাজের অনেকগুলো যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সৌদি আরবে বৈঠক
প্রতিবেদনে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে বড় আকারের বা পদ্ধতিগত আক্রমণের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রীয় বা সাংগঠনিকভাবে যদি এই কাজগুলো করা হয়, তবে তা মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। জাতীয়, নৃতাত্ত্বিক, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে আংশিক বা পুরোপুরি ধ্বংস করা যদি এসব কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্য হয়, তাহলে তা গণহত্যা বলে গণ্য হতে পারে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক প্রতিবেদনে বলেছেন, গণহত্যা প্রতিরোধ ও এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য শাস্তির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ইসরায়েলকে বারবার এ বিষয়ে বাধ্যবাধকতা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত।
তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনও এই প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া আসেনি।
প্রতিবেদনে ইসরায়েলি ও বিদেশি বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সহিংস কর্মকাণ্ডেরও নিন্দা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, সব জিম্মির মুক্তি এবং গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।