গাজা থেকে আরও ৬ জিম্মির লাশ উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে রাতভর অভিযান চালিয়ে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কখন ও কীভাবে ওই ছয়জন মারা গেছেন তা স্পষ্ট করেনি তারা।
জিম্মি পরিবারগুলোর একটি ফোরাম জানিয়েছে, তাদের জীবিত অপহরণ করা হয়।
হামাস বলেছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় জিম্মিদের কয়েকজন নিহত ও আহত হয়েছে।
ইসরায়েলে বন্দি ফিলিস্তিনিদের বিনিময়ে গাজায় জিম্মিদের মুক্তি, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রত্যাশায় চলমান আলোচনার ওপর এটি একটি বড় আঘাত। হামাসের জন্য কৌশলগতভাবে এটি জটিলতা সৃষ্টি করল। কারণ জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার শর্তে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে ইসরায়েল সরকারের ওপর চাপ বাড়ার সম্ভাবনা ছিল তাদের, যার গুরুত্ব এখন খানিকটা কমে যাবে।
আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধবিরতির খুবই কাছাকাছি রয়েছি: বাইডেন
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ৮০ বছর বয়সী চেইম পেরির দেহাবশেষ শনাক্ত করেছে। এছাড়া ইয়োরাম মেটজার (৮০), আব্রাহাম মুন্ডার (৭৯), আলেকজান্ডার ড্যান্সিগ (৭৬), নাদাভ পপলওয়েল (৫১) ও ইয়াগেভ বুচশতাভের (৩৫) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মেটজগার, মুন্ডার, পপলওয়েল ও বুচশটাভের পরিবারের সদস্যরাও হামাসের হাতে জিম্মি হয়েছিলেন। তবে গত নভেম্বরের যুদ্ধবিরতির সময় তারা মুক্তি পান।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দেশটির সেনাবাহিনীর উদ্ধার প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেছেন, ‘এই ভয়াবহ ক্ষতিতে আমাদের হৃদয় ব্যথিত।’
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘সব জিম্মিকে জীবিত ও মৃত- ফেরত আনতে ইসরায়েল সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।’
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টও এই অভিযানের প্রশংসা করে বলেছেন, হামাসের বিশাল সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কের ভেতরে এই অভিযান চালানো হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
৭ অক্টোবরের হামলায় হামাস এখনও প্রায় ১১০ জনকে জিম্মি করে রেখেছে বলে ধারণা করা হয়। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের ধারণা, তাদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: লড়াইয়ের মাঝেই নতুন ইহুদি বসতি নির্মাণের ঘোষণা ইসরাইলের