বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চীনের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে একটি শক্তিশালী টাইফুন আঘাত হানার পর নিকটবর্তী তাইওয়ান দ্বীপের ওপর দিয়ে বয়ে যায়, যার প্রভাবে নিম্নাঞ্চলে সৃষ্ট ভূমিধস ও বন্যায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে।
‘গায়েমি’ নামের এই টাইফুন পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্টি হয়। এর প্রভাবে সপ্তাহের শুরুতে ফিলিপাইনে মৌসুমি বৃষ্টি তীব্র আকার ধারণ করে। এর ফলে দেশটিতে অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
টাইফুনের কারণে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো তাইওয়ানের সরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি নাগরিকদের ঘরে ও উপকূল থেকে দূরে নিরাপদ স্থানে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তাইওয়ানের সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, বুধবার মধ্যরাতে ঝড়টি আঘাত হানার আগে দুজন নিহত হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে ভূমিধসে ৭৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩৮০ জন।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১
বুধবার তৃতীয় আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। উল্টে যাওয়া এক্সক্যাভেটরের নিচে চাপা পড়ের চালকের মৃত্যু হয়। এ মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিকভাবে টাইফুনকে দায়ী করা হলেও পরে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, এ ঘটনার সঙ্গে টাইফুনের কোনো যোগসূত্র নেই।
সাগরের মাঝে অবস্থিত বলে তাইওয়ানে টাইফুনের আঘাত নিয়মিত ঘটনা। ফলে দ্বীপের আবহাওয়া সতর্ক ব্যবস্থাগুলোও বেশ জোরদার। তবে ভৌগলিক অবস্থান, জনসংখ্যার উচ্চ ঘনত্ব ও উচ্চ-প্রযুক্তির অর্থনীতির কারণে এই জাতীয় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে।
টাইফুনের প্রভাবে রাজধানী তাইপেতেও বৃহস্পতিবার হালকা বৃষ্টি এবং মাঝে মাঝে দমকা হাওয়া ছিল।
ঝড়ের কারণে চলতি সপ্তাহে তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে বিমান বাহিনীর মহড়া বাতিল করা হয়েছে।
চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, টাইফুন ধেয়ে আসায় চীনের উপকূলীয় ফুজিয়ান প্রদেশে বিমানের ফ্লাইট, ট্রেন ও ফেরি পরিষেবা বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি ২ লাখ ৪০ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ঝড়টি দুর্বল হলেও চীনের রাজধানী বেইজিংসহ অভ্যন্তরীণ এলাকাগুলোতে আগামী তিন দিন ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।