দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিমানবন্দরের রানওয়েতে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। রানওয়ে থেকে ছিটকে কংক্রিটের দেওয়ালে ধাক্কা মারার পর বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এতে অন্তত ৮৫ যাত্রী নিহত হয়েছেন।
দেশটির জাতীয় অগ্নিনির্বাপন সংস্থা জানিয়েছে, রাজধানী সিউল থেকে প্রায় ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে মুয়ান শহরের বিমানবন্দরে ১৮১ জন আরোহী নিয়ে অবতরণের সময় জেজু এয়ারের একটি ফ্লাইটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সময় রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়।
অগ্নিনির্বাপন সংস্থা জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৪৬ জন নারী ও ৩৯ জন পুরুষ রয়েছেন। এছাড়া দুইজন ক্রুকে বিমান থেকে বের করে আনতে সক্ষম হয়েছেন জরুরি বিভাগের কর্মীরা।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩২টি ফায়ার ট্রাক ও বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
মুয়ান অগ্নিনির্বাপন সংস্থা প্রধান লি জিয়ং-হিয়ন টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ব্রিফিংয়ে বলেন, উদ্ধারকর্মীরা হতাহতদের খোঁজে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে। অগ্নিকাণ্ডে বিমানটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে কেবল বিমানের লেজের অংশটি শনাক্তযোগ্য ছিল।
লি বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটি, বিমানটি পাখির দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে কিনা- দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সরকারি তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
বিমানটি ব্যাংকক থেকে ফিরছিল এবং আরোহীদের মধ্যে দুজন থাই নাগরিক ছিলেন বলে জানিয়েছে পরিবহন মন্ত্রণালয়।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পাইতংতার্ন সিনাওয়াত্রা সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে একটি পোস্টের মাধ্যমে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান চলাচলের ইতিহাসে এটি অন্যতম ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে গুয়ামে কোরিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২২৮ আরোহী নিহত হওয়ার পর ২০২৪ সালের শেষ মুহূর্তে এমন বিমান দুর্ঘটনা দেখল দেশটি।