নেপালের মধ্যাঞ্চলে ভারতীয় যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত অবস্থায় ১৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বাসটি ভারতের নেপাল-সীমান্তবর্তী শহর গোরাখপুর থেকে নেপালের পর্যটন শহর পোখারা থেকে কাঠমান্ডুর দিকে যাচ্ছিল। এসময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি দেশটির আনবুখাইরেনি এলাকার পৃথ্বী মহাসড়ক থেকে নিচের মার্সিয়াংদি নদীর তীরে গিয়ে পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তানাহুন জেলার প্রধান জেলা কর্মকর্তা জনার্দন গৌতম জানান, আহতদের মধ্যে ১২ জনকে চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে রাজধানী কাঠমান্ডুতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং আরও চারজনকে কিছুক্ষণের মধ্যে পাঠানো হবে।
এছাড়া নিখোঁজ বাকি ৭ জনের সন্ধানও পাওয়া গেছে, তবে তাদের অবস্থা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
গৌতম বলেন, ‘বাসটির ৪৩ যাত্রীকেই উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ২০ জন নিহত হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: নেপালে ভারতীয় যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ১৪, নিখোঁজ অনেকে
নেপালে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, বাসটির সবাই ভারতীয় নাগরিক ছিলেন। মহাসড়ক থেকে প্রায় ১৫০ মিটার (৫০০ ফুট) নিচে পড়ে যায় বাসটি।
এর আগে, জুলাই মাসে এই দুর্ঘটনাস্থলের কিছুটা দূরে ভূমি ধসে দুটি বাস নদীতে ভেসে যায়। ওই দুর্ঘটনায় বাসদুটির ৬৫ যাত্রীর মধ্যে মাত্র তিনজন বেঁচে ছিলেন। নিহতদের অর্ধেকের লাশ উদ্ধার করা গেলেও বাকিরা এখনও নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে এখনও তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন।
সড়কের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাব এবং সরু পাহাড়ী রাস্তা হওয়ায় নেপালে প্রায়ই বাস দুর্ঘটনা ঘটে।