যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বৃহস্পতিবার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার জনসনের ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে দাঁড়ানো এবং তার দল তার সরে যাওয়া চায় স্বীকার করার মধ্য দিয়ে কয়েক মসের বিতর্কের অবসান হলো।
তবে কনজারভেটিভ পার্টির দলীয় পদ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে পদত্যাগ করলেও দলটি তার উত্তরসূরি নির্বাচন না করা পর্যন্ত বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন। আর এ প্রক্রিয়ার সময়সূচি আগামী সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে। এর আগে সর্বশেষ নেতৃত্ব নির্বাচনে ছয় সপ্তাহ লেগেছিল।
তবে অনেকেই চান তিনি এখনই সরে যান। এমনকি কয়েকজন কনজারভেটিভ রাজনীতিকের শঙ্কা তিনি তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হয়েও অপকর্ম করতে পারেন।
বৃহস্পতিবার বিজ্ঞানমন্ত্রী হিসাবে পদত্যাগ করা জর্জ ফ্রিম্যান বলেছেন, ‘এটা দেখা কঠিন কীভাবে বরিস জনসন, তার যে চরিত্র, শান্ত নম্রতা ও অনুতাপের মধ্যে তিন মাস শাসন করতে সক্ষম হন।’
জনসনের উত্তরসূরি হওয়ার সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ, সাবেক ট্রেজারি প্রধান ঋষি সুনাক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস।
সাম্প্রতিক কেলেঙ্কারির কারণে প্রায় ৫০ জন মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মন্ত্রী ও নিম্ন-স্তরের কর্মকর্তা গত কয়েক দিনে সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন।
গণপদত্যাগের ফলে কিছু সংসদীয় কমিটির কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে কারণ সরকারের পক্ষে কথা বলার জন্য কোনো মন্ত্রী পাওয়া যায়নি।