ভারতের উত্তরাঞ্চলের একটি হাসপাতালে নবজাতক ইউনিটে অগ্নিকাণ্ডে ১০ জন নবজাতক মারা গেছে। এ সময় আরও ১৬ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার রাতে ভারতের উত্তর প্রদেশের ঝাঁসি শহরের একটি হাসপাতালে এই আগুন লাগে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় কর্মকর্তা বিমল কুমার দুবে জানান, ওই ওয়ার্ডে ৫৫ শিশু ভর্তি ছিল। ৪৫ জন শিশুকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ভোজ্যতেল কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৯
অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক শনিবার হাসপাতালে গিয়ে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি ভুক্তভোগী পরিবারের প্রতি সরকারি সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন এবং তদন্তের আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই দুঃখজনক ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করব এবং কঠোর ব্যবস্থা নেব। এই কঠিন সময়ে সরকার ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সঙ্গে রয়েছে।’
দমকল কর্মীরা পৌঁছানোর পর দেখতে পান, ওয়ার্ডটি আগুন এবং ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন ছিল। উদ্ধারকারীদের জানালার কাঁচ ভেঙে নবজাতক শিশুদের কাছে পৌঁছাতে হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন লাগার প্রায় ৩০ মিনিট পর উদ্ধার কাজ শুরু হয়। ফলে শিশুদের সরিয়ে নিতে দেরি হয়।
এই দুর্ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও নিবিড় যত্ন ইউনিটে (আইসিইউ) আগুনের সাইরেন স্থাপন করা হয়েছিল, তবে অভিভাবক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন সেগুলো আগুনের সময় কাজ করেনি। হাসপাতালের স্টাফরা ধোঁয়া ও আগুনের লক্ষণ দেখার পর পদক্ষেপ নেন।
সন্তান হারানো এক বাবা নরেশ কুমার বলেন, ‘যদি সুরক্ষা সাইরেন কাজ করত, তাহলে আমরা তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ নিতে পারতাম। আরও জীবন বাঁচাতে পারতাম।’
আখতার হুসেনের ছেলেকে উদ্ধার করে পাশের ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনিও একই কথা বলেন। হাসপাতালে আরও ভালো সুরক্ষা প্রোটোকল থাকলে এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।
আরও পড়ুন: কেনিয়ায় স্কুলে অগ্নিকাণ্ডে ১৭ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ১৩