গত বছর কানাডায় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের জড়িত থাকার অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ না দিয়েই কানাডা তিন ভারতীয় পুরুষকে গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি করেছে ভারত।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এই দাবি করা হয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল কানাডা ভারতীয় চরমপন্থীদের আশ্রয় দেয় বলে ভারতের দীর্ঘদিনের অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করেছেন।
গত জুনে ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কানাডায় অস্থায়ীভাবে বসবাসকারী তিন ভারতীয় নাগরিককে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী হত্যায় ভারতের জড়িত থাকার 'বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ' থাকার কথা উল্লেখ করেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এর পর ভারতের সঙ্গে দেশটির কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়। তবে ভারত এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের পর কানাডার মাউন্টেড পুলিশ সুপার মনদীপ মুকার বলেছেন, গ্রেপ্তার ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে ভারত সরকারের কোনো প্রকার সম্পর্ক ছিল কি না, তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: বিদেশিদের জন্য ৩০ দিনের একক প্রবেশ ভিসার বর্তমান ফি বহাল রাখবে শ্রীলঙ্কা
জয়সওয়াল বলেন, দুই দেশের সরকার এই মামলা নিয়ে আলোচনা করছে, তবে হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের জড়িত থাকার কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ পাঠায়নি কানাডা।
জয়সওয়াল বলেন, কানাডার কর্তৃপক্ষের কাছে নয়াদিল্লি অভিযোগ করেছে যে বিচ্ছিন্নতাবাদী, চরমপন্থী ও ভারতের বিরুদ্ধে সহিংসতায় যারা সমর্থন দেয়, তাদের কানাডায় প্রবেশ ও বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, 'আমাদের অনেক প্রত্যর্পণের আবেদন ঝুলে আছে।’
তিনি বলেন, 'আমাদের কূটনীতিকদের বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং তাদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া হয়েছে।’ জয়সওয়াল বলেন, 'এসব বিষয় নিয়ে আমরা কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা করছি।’
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, কানাডায় যে তিন ভারতীয় গ্রেপ্তার হয়েছেন, তারা এখনও সেখানকার ভারতীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে দেখা করতে চাননি।
গ্রেপ্তার তিন ভারতীয় কমলপ্রীত সিং, করণ ব্রার এবং করণপ্রীত সিং মঙ্গলবার ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে আদালতে হাজির হন এবং ইংরেজিতে বিচার পরিচালনায় রাজি হন। আগামী ২১ মে তাদের আবার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রভিন্সিয়াল কোর্টে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে আলবার্টার এডমন্টন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ও হত্যায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।