সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার দাবি করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, দেশটির ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ৯০ শতাংশেরও বেশি ধ্বংস করেছে তারা।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় আইডিএফ।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাশার আল আসাদের পতনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তারা সিরিয়ার পরিস্থিতি ব্যাপকভাবে মূল্যায়ন করছে। এ ধরনের পরিস্থিতির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে কৌশলগত অস্ত্রশস্ত্রসহ সিরিয়ার সামরিক সক্ষমতা নিষ্ক্রিয় করার লক্ষ্যে (ইসরায়েলি) বিমান বাহিনী ব্যাপক হামলার পরিকল্পনা করেছে।
আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে গত কয়েকদিনে শত শত জঙ্গি বিমান ও বিমান দিয়ে সমন্বিত হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এসব হামলায় সিরিয়ার যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, ক্ষেপণাস্ত্র, ইউএভি, রাডার ও রকেটসহ সবচেয়ে কৌশলগত অস্ত্রের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: আসাদের পতন: সিরীয়দের এখনই আশ্রয় দেবে না ইউরোপের একাধিক দেশ
সিরিয়ার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিমান ঘাঁটিও ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়। হামলায় দামেস্কের উত্তরাঞ্চলের নিকটবর্তী টি৪ বিমানবন্দরটি উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সেখানে অবস্থিত এসইউ-২২ ও এসইউ-২৪ যোদ্ধা স্কোয়াড্রনগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এছাড়া ‘ব্লে’ বিমানবন্দরের আরও তিনটি ফাইটার স্কোয়াড্রন এবং নিকটবর্তী একটি অস্ত্র সংরক্ষণাগারও ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিরিয়ার হোমস এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ মিসাইল উৎপাদন কেন্দ্র ও মজুদাগার লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল।
এ অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে সিরিয়ার সামরিক সক্ষমতা হ্রাস করাই এসব অভিযানের লক্ষ্য বলে বিবৃতিতে জানায় আইডিএফ।