সুদানের সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষে তিন শিশুসহ অন্তত ১১ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছে।
বেসরকারি সুদানিজ ডক্টরস নেটওয়ার্ক একটি বিবৃতিতে ঘোষণা সতর্ক করে বলেছে, ১০ মে থেকে চলা ঘনবসতিপূর্ণ এই শহরে অব্যাহত ও ক্রমবর্ধমান সংঘর্ষ ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চিকিৎসকদের সংগঠন অবিলম্বে নির্বিচারে গোলাবর্ষণ বন্ধ এবং শহরটিতে অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে।
ওই অঞ্চলে ১০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা বাস করে, যাদের বেশিরভাগই অন্য রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: সুদানে মহামারী রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে ৩৪ লাখ শিশু: ইউনিসেফ
মানবিক সহায়তা, বিশেষ করে ওষুধ ও খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত এবং সহিংসতা বন্ধে চাপ দিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
এর আগে শনিবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, এল ফাশেরে আরএসএফের পূর্ণ মাত্রায় হামলার খবরে জাতিসংঘ মহাসচিব ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’।
এক বিবৃতিতে দুজারিক বলেন, মহাসচিব আধাসামরিক বাহিনীকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করা এবং অবিলম্বে হামলা বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, উত্তেজনা আরও বাড়লে দারফুরজুড়ে আন্তঃসাম্প্রদায়িক লাইনে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার হুমকি তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: সুদানে আরএসএফের হামলায় ৪০ বেসামরিক নাগরিক নিহত
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে সুদান এসএএফ ও আরএসএফের মধ্যে সহিংস সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। সহিংসতায় কমপক্ষে ১৬ হাজার ৬৫০ জন নিহত হয়েছে এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ।