বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে (বিএসএমএসএন) ১৪ লাখ মানুষের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।
তিনি বলেন, বিএসএমএসএন চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে বিএসএমএসএন-এ সরকারি সংস্থা ও বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মুখ্য সচিব।
চট্টগ্রামের মিরসরাই, সীতাকুণ্ড ও ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলায় ৩ হাজার ৪০০ একর জমির ওপর নির্মিত হচ্ছে বিএসএমএসএন।
পাঁচটি কোম্পানি ইতোমধ্যে উৎপাদন শুরু করেছে এবং আরও তিনটি কোম্পানি শিগগিরই উৎপাদনে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
শিল্পনগরী পরিদর্শন শেষে তোফাজ্জল বলেন, উন্নয়নের কাজ শেষ হলে পর্যায়ক্রমে আরও কারখানা নির্মাণ করা হবে এবং প্রায় ১৪ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের নিরাপত্তা, বাসস্থান, শিল্প-কারখানার নিরাপত্তা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা, এই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের পুলিশি সহায়তা বাড়াতে হবে। একটি থানা তৈরি করা হবে। তাদের চলাচল এবং অবকাঠামো নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে শুল্ক অব্যাহতি বেড়েছে ১৭.৬৪ শতাংশ
তিনি বলেন, দেশ-বিদেশের প্রায় ১৫২টি কোম্পানি ইতোমধ্যে এই শিল্পনগরীতে (বিএসএমএসএন) বিনিয়োগ করেছে।
তিনি স্থানীয় জনগণের ত্যাগের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘একসময় এখানে ১৩৯টি পরিবার ছিল। শিল্পায়নের কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা তাদের বাড়ি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাদের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ দেওয়া হবে।’
তোফাজ্জল পরিবেশগত উদ্বেগের বিষয়ে বলেন,‘আমরা উন্নয়ন ও পরিবেশ রক্ষা চাই। এখানে পরিবেশ অক্ষুণ্ন রেখে সব উন্নয়ন প্রকল্প করা হবে। একটি সেন্ট্রাল এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান (সিইটিপি) থাকবে। যদি কারও নিজস্ব ইটিপি থাকে, তবে এটিকে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায়, তাদের সিইটিপি-তে আসতে হবে।’
বৈঠকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) চেয়ারম্যান ইউসুফ হারুন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ তোফায়েল ইসলাম, রেঞ্জ ডিআইজি নূর-ই আলম মিনা, জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার একেএম শফিউল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ ৮৫৬টি পোশাক কারখানায় নজরদারির সুপারিশ সিপিডির