দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
বিশ্বব্যাপী স্বর্ণের বাজারে দাম বৃদ্ধির দ্রুততম গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
বৈশ্বিক এই প্রবণতার ধারাবাহিকতায় সোমবার একই দিন বিকাল ৪টা থেকে দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বাজুস।
শনিবার স্বর্ণের দাম ভরি প্রতি ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা বাড়ানোর পর মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এখন ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা বা প্রতি গ্রামের দাম ১০ হাজার ৮০ টাকা; ২১ ক্যারেট ১ লাখ ১২ হাজার ২০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা; আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ হাজার ১৯০ টাকা।
স্বর্ণের দাম উল্লেখযোগ্য সমন্বয় দেখা গেলেও রুপার দাম স্থিতিশীল রয়েছে, যার মধ্যে ২২ ক্যারেট রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬০০ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। সেই অনুযায়ী, প্রতি আউন্স (৩১.১০৩ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৩২৯ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বর্ণের দাম বাড়ার জন্য মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের নীতিগত সুদের হার কমানোর প্রত্যাশাকে দায়ী করা হয়েছে যে কারণে স্বর্ণে বিনিয়োগের পরিমাণ দ্রুত বেড়েছে।
বৈশ্বিক আর্থিক বাজার এবং পণ্যের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক বাংলাদেশে স্বর্ণের মূল্য নির্ধারণের কৌশলকেও প্রভাবিত করে।