বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে বিএনপি উসকানি দিচ্ছে- সরকারের এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির এ ধরনের আন্দোলনে জড়ানোর কোনো কারণ নেই।
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের এ ধরনের আন্দোলনে ইন্ধন দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। এই সব আন্দোলন তাদের (শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের) নিজস্ব।’
সোমবার (৮ জুলাই) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে স্বাধীনভাবে এসব আন্দোলন পরিচালনা করছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা কেন এই আন্দোলনে উসকানি দেব? আমাদের এটা করার কোনো কারণ নেই।’
তবে বিএনপির এই নেতা জানান, তাদের দল মনে করে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে শিক্ষকদের আন্দোলন এবং সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক।
তিনি বলেন, 'আমরা যা যৌক্তিক তা নিয়ে এবং তার পক্ষে কথা বলব। আমরা সবসময়ই এটা করে আসছি।’
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন বিএনপিকে অনুপ্রাণিত করেছে বলেও স্বীকার করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ যখন নিজেদের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়, তখন তা আমাদের অনেক আশা জাগায়।’
তবে দেশের অন্যান্য সমস্যাগুলো থেকে জনগণের মনোযোগ সরাতে সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে দুটি আন্দোলন তৈরি করেছে কি না তা নিয়ে বিএনপি সন্দিহান বলে জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘যৌক্তিক দাবির প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলনকে আমরা সমর্থন করি। আমরা এটাকে অযৌক্তিক মনে করার কোনো কারণ দেখছি না।’
দেশ প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পরও সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা বজায় রাখা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, এটি মেধার বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে। এভাবে যোগ্য ব্যক্তিদের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে নিয়োগ থেকে বিরত রাখা হয়। এতে দেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার নিজ অবস্থান থেকে সরে এসে শিক্ষকদের জন্য পেনশন স্কিম চালু করতে চাচ্ছে তাই তাদের আন্দোলন একটি যৌক্তিক দাবির ওপর ভিত্তি করে হচ্ছে বলে মনে করে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা (সরকার) আগেই বলেছিলেন, যারা এরইমধ্যে পেনশন পাচ্ছেন, তাদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করার দরকার নেই। যারা পাচ্ছেন না শুধু তাদেরই অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। এখন এটা ঐচ্ছিক না রেখে শিক্ষকদের জন্য বাধ্যতামূলক করেছেন।’