রবিবার দুপুরে বিকল্পধারার পুনর্গঠিত প্রথম প্রেসিডিয়াম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠক শেষে বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহী বি. চৌধুরী প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে দুপুর পৌনে একটায় বি. চৌধুরীর বারিধারার বাসভবন মায়া-বিতে প্রেসিডিয়ামের বৈঠক শুরু হয়ে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চলে।
বৈঠকে প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, শমসের মবিন চৌধুরী, গোলাম সারেয়ার মিলন, মাহী বি. চৌধুরী, আবদুর রউফ মান্নান ও অধ্যাপক আনোয়ারা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
মাহী বলেন, ‘প্রেসিডিয়াম বৈঠকে একটি গ্রহণযোগ্য ও অশংগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য বিকল্পধারার পক্ষ থেকে সরকারের কাছে যে দাবিগুলো ছিল সে সব দাবির ব্যাপারে আমরা দ্বর্থহীনভাবে আবারো বলছি একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে না, নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে, রাজনৈতিক মামলায় যেসব রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মুক্তি দিতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি না করা পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ গ্রহণের চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত বিকল্পধারা নেবে না। তবে বিকল্পধারা একটি নির্বাচনমুখী দল তাই নির্বাচনের সকল প্রস্তুতিও আমরা গ্রহণ করবো।’
আগামী ২ নভেম্বর বিকল্পধারার বাড্ডার নির্বাচনী কার্যালয়ে যুক্তফ্রন্টের উদ্যোগে একটি জনসভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওই জনসভায় আরো কিছু রাজনৈতিক নেতা বিকল্পধারায় যোগদান করবেন বলে সাংবাদিকদের জানান মাহী।
বৈঠকে প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মবিন চৌধুরীকে বাড়তি দায়িত্ব হিসেবে বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা করা হয়েছে। বৈঠকে বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কার্তিক ঠাকুরকে প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়।