বৃহস্পতিবার তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ভোটারদের এমন বিমুখতা গণতন্ত্রকে বিপদে ফেলে দিতে পারে।
‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কেন অংশগ্রহণমূলক হলো না তা নিয়ে সরকারকে অবশ্যই চিন্তা করতে হবে। অনেক স্থানে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল খুবই সামান্য। এর পেছনে কি কারণ রয়েছে তা সরকারকে খুঁজে বের করতে হবে,’ বলেন তিনি।
এক আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদানকালে বি চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমি ভীত যে, নির্বাচনের প্রতি মানুষ যদি উদাসীন হয়ে পড়ে তাহলে গণতন্ত্র মারাত্মক বিপদে পড়বে। ভোটারদের উদাসীনতার চেয়ে আর কোনো কিছুই বেশি বিপদজনক হতে পারে না।’
স্বাধীনতা দিবস এবং সংগঠনের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুক্তফ্রন্টের অন্যতম শরীক বাংলাদেশ শরীয়াহ আন্দোলন জাতীয় প্রেসক্লাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি বি চৌধুরী বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত এবং ভোটের প্রতি জনগণের আগ্রহ বাড়াতে বিরোধী দলগুলোর রাজনৈতিক সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। ‘সরকারকে অবশ্যই বিরোধী দলগুলো রাজনীতির সুযোগ দেয়ার কথা ভাবতে হবে। বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই বিরোধী দল রয়েছে। বিরোধী দল ছাড়া গণতন্ত্র অসম্পূর্ণ।’
তিনি বলেন, বিরোধী দলগুলোকে রাজনীতি করার এবং নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে হবে। এই দায়িত্ব সরকারের।
এসময় উপজেলা নির্বাচনকে একতরফা হিসেবে বর্ণনা করেন যুক্তফ্রন্ট প্রধান।
রাজধানীতে বাসচাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তিনি বলেন, চালকদের মধ্যে অসতর্কতা এবং আইনের প্রয়োগ না থাকায় দুর্ঘটনা বাড়ছে। ‘নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে এ দেশে অনেক আইন আছে কিন্তু এসব আইনের প্রয়োগ নেই। এটা লজ্জার।’
তিনি নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।