'যমুনা নদী সংকীর্ণকরণ প্রকল্প' অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। এতে পরিবেশ ও জলবায়ুর ওপর মারাত্মক খারাপ প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে দলটি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন,সোমবার আমাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সরকারের বিপজ্জনক 'যমুনা নদী সংকীর্ণকরণ প্রকল্প' নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, তাদের দলের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, এই প্রকল্প বাংলাদেশের পরিবেশ, প্রকৃতি, মানুষের জীবন-জীবিকা এবং জলবায়ুর মারাত্মক ক্ষতি করবে।
তিনি বলেন, আমরা এ ধরনের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, যমুনা নদীর প্রস্থ ১৫ কিলোমিটার থেকে কমিয়ে ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার করতে এক হাজার ১১০ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে 'যমুনা নদী তীর রক্ষা ও ঝুঁকি প্রশমনের জন্য টেকসই অবকাঠামো' শীর্ষক প্রস্তাবিত প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে।
প্রকল্পের তীব্র বিরোধিতা করে ফখরুল বলেন, এই পাইলট প্রকল্পের জন্য সরকার ইতোমধ্যে অর্থ বরাদ্দ করেছে। ‘এটি একটি মারাত্মক এবং আত্মঘাতী প্রকল্প। সরকারের সমস্যা হলো যে দেশের জন্য জরুরি প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোতে তাদের মনোযোগ নেই।’
তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা নদীকে দূষণমুক্ত করার কোনো উদ্যোগ বা প্রকল্প নেই। কার স্বার্থেই তারা হাজার বছর ধরে প্রবাহিত যমুনা নদীকে সংকুচিত করতে চায়।
আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ জামানত হারাবে: ফখরুল
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, সরকার একটি নদী ধ্বংস করে বিপুল পরিমাণ জনগণের টাকা লুটপাট করার প্রকল্প নিয়েছে। ‘এই প্রকল্প অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং এই প্রকল্প সম্পর্কে জনগণকে স্পষ্ট ধারণা দিতে হবে।’
ফখরুল আরও বলেন, সরকার দুর্নীতির প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে বিদ্যুৎ খাতকে বেছে নিয়েছে এবং তারা এ খাত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারও জনগণের টাকা লুট করতে একের পর এক বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: সরকার আহমদিয়াদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অনুমতি দিল কেন ফখরুলের প্রশ্ন, এটিকে ‘বিতর্কিত’ বলেছেন