চলমান অসন্তোষ প্রশমনের প্রচেষ্টার মধ্যে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের প্রায় ৪৫টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর আজ (বুধবার) থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে আরও ৬০টি পোশাক কারখানা।
৬০টি কারখানার মধ্যে ২৫টি কারখানা 'নো ওয়ার্ক নো পে' (বিনা বেতনে ছুটি) ভিত্তিতে ছুটি ঘোষণা করেছে।
পোশাক কারখানা বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সরোয়ার আলম।
তিনি বলেন, শ্রম আইনের ১৩(১) ধারা অনুযায়ী 'নো ওয়ার্ক নো পে' শর্ত দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তার আশ্বাসের পরও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ, ২২টি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ
বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ অনুযায়ী, 'অবৈধ' ধর্মঘটের কারণে মালিক কোনো প্রতিষ্ঠানের শাখা বা বিভাগ আংশিক বা পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারেন এবং ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী শ্রমিকরা কোনো মজুরি পাবেন না।
বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, ৬১ দশমিক ০৫ শতাংশ কারখানা আগস্ট মাসের শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেছে।
গার্মেন্টস অ্যান্ড সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইনবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, ১৩(১) ধারা অনুযায়ী কারখানা বন্ধ থাকাকালীন শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হবে না, যা তাদের হতাশা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
গতকাল বিকালে জামগড়া, নরসিংহপুর ও পুকুরপাড় এলাকার বেশ কয়েকটি কারখানায় ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ (বুধবার) কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন কারখানা মালিকরা।
আরও পড়ুন: বিজিএমইএ'র প্রচেষ্টার পরও আশুলিয়ায় ৪০টি পোশাক কারখানা বন্ধ