চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সহ অন্য কর্মকর্তারা শ্রমিকবান্ধব হলে খুব দ্রুতই এটি লাভের মুখ দেখবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. লিপিকা ভদ্র।
শুক্রবার ২০২৪-২৫ আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
করপোরেশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আজ থেকে কেরুর চিনিকলের আখ মাড়াইয়ের কাজ শুরু হলো। এ চিনিকলের এমডি ও আরও কর্মকর্তারা যদি শ্রমিকবান্ধব হন, চিনিকলের উন্নতির জন্য কাজ করেন, তাহলে খুব দ্রুতই সব চিনিকলই লাভের মুখ দেখবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিস্টিলারি বিভাগ সাধারণত দুটি ভাগে বিভক্ত। একটি ফরেন লিকার আরেকটি কান্ট্রি লিকার। আমরা এরই মধ্যে ফরেন লিকারের পাশাপাশি কান্ট্রি লিকারের ছাড়পত্র পেয়েছি। আমরা অতি শিগগিরই কান্ট্রি লিকার বা দেশীয় মদও ফরেন লিকারের মতো বোতলজাত করব। আমাদের ১৩টি নিজস্ব ওয়ারহাউজে দেওয়া হবে।’
এসময় কেরুর চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারী, আখচাষি ও সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সঙ্গে মত বিনিময় করেন তিনি। কেরুর চিনিকল পুনরায় আগের রূপে চালুসহ চলমান আন্দোলন এবং চিনিকলের বিভিন্ন সম্ভাবনাময় দিকগুলো তুলে ধরেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী শহিদুল করিম, চুয়াডাঙ্গা জেলা সিনিয়র দায়রা জজ আকবর আলী, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, প্রধান রসায়নবিদ আনিসুল হক, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলার আহ্বায়ক আসলাম অর্ক, কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ সবুজ, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান।
মতবিনিময় সভায় সবার বক্তব্য শুনে চিনিকলটি পুনরায় আগের রূপে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. লিপিকা ভদ্র।