ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাব কেটে যাওয়ার পরে কমতে শুরু করেছে বরিশালের সড়কগুলোতে জমে থাকা পানি। তবে এখনো গুরুত্বপূর্ণ অনেক এলাকা ও সড়ক তলিয়ে আছে।
নগরের বটতলা, শ্রীনাথ চ্যাটার্জি লেন, বগুড়া রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় পানিবন্দী হয়ে রয়েছে বহু বাড়ি-ঘর। জমে থাকা পানির ভেতর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নদীতে বেড়েছে পানির উচ্চতা। যে কারণেই মূলত নগরে জমে থাকা পানি নামতে পারছে না নদীতে। পানি স্বাভাবিক উচ্চতায় ফিরে এলে নগরের সড়কে জমে থাকা পানি নেমে যাবে।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) এদিকে টানা ২৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সকাল থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লা রুটের লঞ্চ চলাচল।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ‘বিপদ সংকেত না থাকায় শনিবার সকাল ৭টা থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী শুরু হয়েছে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লা রুটের লঞ্চ চলাচল।’
ঝড়ের প্রভাব কেটে যাওয়ায় নাগরিক জীবনেও ফিরে এসেছে স্বাভাবিকতা। সকল দোকান পাট খুলেছে। সেইসঙ্গে প্রায় দেড় দিন পর আজ দেখা মিলেছে সূর্যের।