বুধবার এ ঘটনার পর এক এএসআইসহ তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে টেরিবাজার দোকান কর্মচারী ও স্থানীয়রা। তবে পুলিশের পিটুনিতে দোকান কর্মচারীর মৃত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিহত গিরি ধর চৌধুরী টেরিবাজার মহাদেশ মার্কেটের ‘প্রার্থনা’ নামে একটি দোকান খুলে কয়েকটি কাপড়ের গাইট নিয়ে যাওয়ার সময় মার্কেটের নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে আটক করে।
টেরিবাজারের দোকান কর্মচারী হাবিবুল ইসলাম জানান, নিরাপত্তা কর্মীরা গিরি চৌধুরীকে আটক করার পর কোতোয়ালী থানার এএসআই কামরুল ও কয়েকজন পুলিশ এসে স্বীকারোক্তির জন্য গিরি চৌধুরীকে লাঠি পেটা করে। এতে অসুস্থ হয়ে গেলে রাতে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ মত্যুর খবরে টেরিবাজার আন্দরকিল্লাহ বক্সিরহাট এলাকায় শত শত দোকান কর্মচারী রাস্তায় বেরিয়ে বিক্ষোভ করে এবং পুলিশের শাস্তি দাবি করে শ্লোগান দেয়।
টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমি বাসায় ছিলাম। ঘটনা শুনে এখানে এসেছি। শুনেছি কাপড় চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় গিরি চৌধুরীকে আটক করা হয়েছে। পরে সে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। পুলিশ মেরেছে কিনা আমি জানি না। আমি তখন বাসায় ছিলাম।’
সিএমপির কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে টেরিবাজারের সকল মার্কেট বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় গিরি ধর নামে ওই কর্মচারী কিছু কাপড় চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার লোকজন আটক করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে রাত ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। হার্ট এ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে। এর আগেও তিনি তিনবার হার্ট এ্যাটাক করেছেন।’
সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফ জানান, এ ঘটনায় এএসআই কামরুলসহ তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।