তৃতীয় দফার দ্বিতীয় আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বোট ক্লাব সংলগ্ন জেটি থেকে নৌবাহিনীর চারটি জেটি জাহাজযোগে তাদের ভাসানচরের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।
চট্টগ্রামের নৌবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এসব রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চট্টগ্রামে রাখা হয় ট্রানজিট পয়েন্টে।
নৌবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ জানায়, শুক্রবার বিকালে উখিয়া থেকে বাসযোগে ১ হাজার ৪৬৪ রোহিঙ্গাকে পতেঙ্গার শাহিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে স্থাপিত নৌবাহিনীর অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। তাদের রাতের খাবার এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় ওই ক্যাম্পে। এরপর সকালে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে তাদের জাহাজে তোলা হয়। দুপুর ১২টার মধ্যে তারা ভাসানচর পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে আগ্রহী এমন রোহিঙ্গা সদস্যদের তালিকা করে তাদের ভাসানচরে পৌঁছানোর উদ্যোগ গ্রহণ করে কক্সবাজারের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কর্তৃপক্ষ। তারই অংশ হিসেবে আজ তৃতীয় দফার দ্বিতীয় দিনে আরও ১ হাজার ৪৬৪ রোহিঙ্গা সদস্যকে নৌবাহিনীর জাহাজযোগে ভাসানচরে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
মূলত ভাসানচরে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে উন্নত সুযোগ-সুবিধার কথা জেনে এই রোহিঙ্গা সদস্যরা সেখানে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করে। ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের জন্য উন্নত বসবাস, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, বিনোদন, হাঁস-মুরগি পালনসহ নানা সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ সরকার।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে ১ হাজার ৬৪২ এবং দ্বিতীয় ধাপে ২৯ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮০৪ রোহিঙ্গা সদস্য স্বেচ্ছায় ভাসানচরে গেছে। গত শুক্রবার তৃতীয় দফার প্রথম দিনে গেছে আরও ১ হাজার ৭৭৮ জন।